ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে! মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে একহাত অধীর-সুজনের

ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে! মোদী-মমতা বৈঠক নিয়ে একহাত অধীর-সুজনের

নয়াদিল্লি: রাজধানী সফরে গিয়ে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে, বিএসএফ ইস্যুতে নিয়ে কথা বলবেন তাঁর সঙ্গে। সেই মত আজ বিএসএফ থেকে শুরু করে, বকেয়া অর্থ, টিকা ইস্যুর মত একাধিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সারেন মমতা। কিন্তু বাংলার বিরোধী রাজনীতিকরা এই বৈঠককে চরম কটাক্ষ করলেন। কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী থেকে শুরু করে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

দুজনের এই বৈঠক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই বৈঠকের সঙ্গে রাজ্যের কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, কংগ্রেসকে কী ভাবে আরও ভাঙা যায়, মমতাকে হয়তো হয়তো সেই পরামর্শই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিকে, বিএসএফ নিয়ে যখন রাজ্যের বিধানসভায় আলোচনা হয়েছিল, তখন মমতা তাতে অংশ নেননি। আর আজ মোদীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলাদা ভাবে কথা বলেছেন। বোঝাই যাচ্ছে এতে কার সুবিধে রয়েছে। এমনভাবেই কটাক্ষ করেন তিনি।

এদিকে, বৈঠক করার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মমতা স্পষ্ট জানান যে দুজনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, রাজ্যের পাওনা টাকা থেকে শুরু করে বিএসএফ এবং টিকা ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে অনেকগুলি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে রাজ্যে। সেই ক্ষয়ক্ষতি বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে অর্থ পাওয়ার কথা রয়েছে, সেই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ৯৬ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকার কাছাকাছি পাওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান তিনি। আবার তিনি বিএসএফ ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান মমতা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি জানিয়েছেন যে ভারতবর্ষে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো আছে এবং সেটা আরো শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এখানে জোর জবরদস্তি চলে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − ten =