কলকাতা: বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশি তৎপরতায় প্রাণ হারানো ডিওয়াইএফআই (DYFI) কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দাকে নিয়ে এখন কার্যত তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে নানা বিষয়কে কেন্দ্র করে এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। তার মধ্যে এই ঘটনা যেন নতুন করে উস্কে দিয়েছে বিরোধীদের ক্ষোভ। এদিন বাম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় চাঁচাছোলা ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন অধীর চৌধুরী এবং দিলীপ ঘোষ।
বিতর্কের মুখে মৃত মইদুল ইসলাম মিদ্দার পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এদিন বলেন, “বাংলার কোনো মা বোন যদি ধর্ষিতা হয়, তাঁকে চাকরি দেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে আসলে অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের লাঠির আঘাতে মৃত গরীব মানুষের পরিবারকেও চাকরির প্রলোভন দেখাচ্ছেন তিনি।”
কংগ্রেস নেতার পাশাপাশি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে শোনা গেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও।তরুণ বাম কর্মীর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এদিন এমনটাই দাবি করেছেন গেরুয়া নেতা। এদিন তিনি বলেন, “আন্দোলন করানো হচ্ছে, চাকরি দেওয়াও হচ্ছে।এভাবে লাভ তোলা হচ্ছে। এর পিছনে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে।” সিপিএম কংগ্রেসকে দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে যে সমস্ত বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তাঁদের চাকরির কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি বলে অনুযোগও শোনা গেছে দিলীপ ঘোষের গলায়।
মা মাটি মানুষের সরকার চাকরির লোভ দেখিয়ে আদতে অভিযুক্ত অর্থাৎ পুলিশ প্রশাসনকে আড়াল করতে চাইছেন, এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। “এটাই মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক ধর্ম”, বলেন তিনি। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার বাসিন্দা মইদুল ইসলাম মিদ্দা ছিলেন পেশায় অটোচালক। বামেদের নবান্ন অভিযানে সকলের জন্য চাকরির দাবিতে পা মিলিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু শহরের রাজপথে মিছিলের উপর নেমে আসে পুলিশি বর্বরতা। প্রাণ হারান ৩১ বছরের বাম কর্মী।