কলকাতা: রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য যে বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছিল। সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয়ে গিয়েছে এই আচার্য বিল। কিন্তু বিজেপি তরফ থেকে কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছে ভোটাভুটি নিয়ে। এই ইস্যুতে তাঁরা আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন: রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রীই হবেন আচার্য! অনুমোদন মন্ত্রিসভার
জানা গিয়েছে, আচার্য নিয়োগ বিল নিয়ে যে ভোটাভুটি হয়েছে বিধানসভায় তাতে বিলের পক্ষে ১৮২ এবং বিপক্ষে ৪০টি ভোট পড়ে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, আচার্য বিলের বিপক্ষে তাঁদের ৫৭ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন কিন্তু ভোট গৃহীত হয়েছে ৪০ জনের। এই প্রেক্ষিতেই তাঁরা গণনায় দুর্নীতির কথা তুলেছেন। কিন্তু তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাদের ১৮২ জন বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন এবং সকলেই ভোট দিয়েছেন। এদিকে এই বিল সংক্রান্ত ইস্যু ছাড়াও বিজেপির সাত বিধায়কের সাসপেশন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে শোরগোল হয়েছে বিধানসভাতে।
শুধু কি বিধানসভায় পাশ করলেই তা আইনে পরিণত হবে? এক কথায়, না। এই বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন প্রয়োজন। তিনি অনুমোদন না দিলে এই বিল আইনে পরিণত হবে না। এতদিন ধরে তিনিই রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। এখন তাই এটাই দেখার যে রাজ্যপাল এই বিলে অনুমোদন দেন কিনা। তবে শুধু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদেও মুখ্যমন্ত্রীর নাম অনুমোদন দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।