নদিয়া: নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে৷ কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা৷ এই মামলা প্রসঙ্গে হাঁসখালি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর পর নাবালিকার দেহ তড়িঘড়ি সৎকার করা হয়েছিল৷ এ নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে৷ ওই নাবালিকার পরিবারের বক্তব্য, সেই সময় তাঁরা অত্যন্ত শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছিলেন৷ এদিকে, অভিযুক্ত পক্ষের লোকজন এসে চটজলদি দেহ সৎকার করে দেয়৷ এমনকী পরিবারের লোকজন অনেক পড়ে শ্মশানে যান৷ শ্মশান থেকে কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ৷ সেই নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ পাশাপাশি রক্তমাখা চাদর ও নাবালিকার মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য প্রমাণ জোগাড় করছে পুলিশ৷ নদিয়ার পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন বাড়ি ফাঁকা ছিল৷ অভিযুক্ত মদ্যপান করেছিল৷ নির্যাতিতাকেও মদ্যপাল করানো হয়৷ নির্যাতিতার সঙ্গে অভিযুক্তের একটা সম্পর্ক ছিল বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- মুকুলের পদ খারিজের মামলা ফিরল বিধানসভায়, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ হাই কোর্টের
ইতিমধ্যেই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে মূল অভিযুক্ত৷ তবে গত ৫ এপ্রিল অভিযুক্তের জন্মদিনের পার্টিতে ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ এদিকে আজ রানাঘাট মহকুমা আদালতে বিচারকের সামনে পাঁচজনের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে৷ নির্যাতিতার মা, দুই আত্মীয়, শ্মশানের দায়িত্বে থাকা এক মহিলা ও নাবালিকার চিকিৎসা করা এক হাতুড়ে চিকিৎকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>