নন্দীগ্রাম: ‘‘জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। তবে এত বড় ভিলেন ভারতবর্ষে কোথাও দেখিনি। দেখতে সুন্দর, মিষ্টি মিষ্টি কথা। কিন্তু শুভেন্দুর উপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেন!’’ নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ভূমি উচ্ছেদ কমিটির অন্যতম নেতা তথা নন্দীগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি আবু তাহের।
শনিবার সন্ধ্যায় অপর ভূমি উচ্ছেদ কমিটির নেতা রবীন দাসের স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে নৃশংস ভাবে খুন হন নিশিকান্ত মণ্ডল। তৎকালীন পুলিশের রিপোর্টে মাওবাদীদের হাতে নিশিকান্ত মণ্ডল খুন হন। সেখানেই তাহের অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী সুপার কিলারকে দিয়ে নিশিকান্ত মণ্ডলকে খুন করেছে৷
তাহেরের কথায়, ‘‘কেন বলছি? নিশিকান্ত মণ্ডলের কাছে যে মোবাইলটা ছিল, লাস্ট কল কে করেছিল? সেই নম্বর ছিল। সেই মোবাইল নম্বর ধরে খুঁজে পাওয়া যেত অপরাধীকে। কিন্তু শুভেন্দু ওঁর মোবাইলটা নিয়ে নিয়েছিলেন। আমি যখন বললাম, মোবাইল নম্বারটা চেক করুন। তিনি বলেছিলেন, তাহের আমাকে জ্ঞান দিচ্ছো। জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করা যায় না। আমি আর প্রশ্ন করলাম না। শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামে বয়ালে সমর মাইতিকে লোক লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। আনিসুর রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। এইভাবে একটার পর একটা খুন করে যাচ্ছে। এত বড় ভিলেন ভারতবর্ষে কোথাও দেখিনি। দেখতে সুন্দর, মিষ্টি মিষ্টি কথা। কিন্তু তার উপরে উঠে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিত শুভেন্দু৷’’
তাহেরের এহেন বিস্ফোরক দাবিকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রামে৷ নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের দাবি, ‘‘নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গিয়েছিলেন৷ তাই এখানে শুভেন্দুদাকে কালিমালিপ্ত করতে তৃণমূল মিথ্যে কুৎসা করছে৷ মানুষই এর জবাব দেবে৷’’ যদিও এ বিষয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।