কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে কার্যত টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ নোটবন্দির পরেও এতটাকা? কোটি কোটি ‘কালো টাকা’ কোথা থেকে এল? বৃহস্পতিবার এই প্রশ্নই তুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘কালো টাকা’ উদ্ধার প্রকল্পকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘৫০ দিন সময় দিন। এর পরে দেশে কালো টাকা মিললে আমাকে যা শাস্তি দেবেন, মাথা পেতে নেব’। আজ আমরা জানতে চাই, এই টাকার উৎস কী? জবাব দেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রের।’’
আরও পড়ুন- ‘মেয়ের কর্মফল ভুগতে হবে…’, আক্ষেপের সুর অর্পিতার মায়ের গলায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ ও সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দলীয় দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিষেক৷ তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশে ব্যপম কেলেঙ্কারির পর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। টাকা তো অনেকের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে। উন্নাওয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর।’’ তিনি জোড় গলায় বলেন, ‘‘একটা ঘটনা ঘটেছে৷ পাঁচ-ছ’দিন সময় তো লাগবেই। পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ দেখে তৃণমূল যে পদক্ষেপ করল দেশে তা আর কোন দল করতে পারেনি৷’’
একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘এই দুর্নীতির সঙ্গে যারা যারা জড়িত তাদের সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে পালিয়ে যাওয়া নেতাদের কেউ যুক্ত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিজেপিতে থাকলে আলাদা আইন আর তৃণমূলে থাকলে আলাদা আইন, সেটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়।’’ সেই সূত্রেই সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেন৷ তাঁর অভিযোগ, ওই চিঠিতে যাঁদের সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়েছে তাঁদের সকলকে ডেকে তদন্ত করা হয়নি।’’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>