গোসাবা: চার রাজ্যে উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে গিয়েছে জোড় কদমে ভোটের প্রচার৷ শনিবার গোসাবায়র জনসভা থেকে কংগ্রেসকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুর পথ দেখিয়েছে, তৃণমূল না জিতলে ভারত বাঁচবে না: অভিষেক
এদিন অভিষেক বলেন, ‘কংগ্রেস দিনের পর দিন ধরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলছে৷ কখনও সিপিএমের সঙ্গে জোট করছে, কখনও ভাঙছে৷ কখনও আবার আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট বাঁধছে৷ যেন তেন প্রকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি’কে সুবিধা করে দিতে চাইছে৷’ অভিষেক বলেন, ‘কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের পার্থক্য কী জানেন? কংগ্রেস সাত বছর ধরে বিজেপি’র কাছে হারছে৷ আর গত সাত বছর ধরে তৃণমূল বিজেপি’কে হারাচ্ছে৷’
তাঁর হুঙ্কার, ২০২৪ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভারত ছাড়া করবে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেস৷ জাতীয় কংগ্রেসের দ্বারা সেটা সম্ভব নয়৷ অভিষেকের কথায়, কংগ্রেসকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা৷ ‘NOTA’য় ভোট দিলে যেমন ভোট নষ্ট হয়, তেমনই কংগ্রেস-সিপিএম-কে ভোট দেওয়ার অর্থ ভোট নষ্ট করা৷
অভিষেক আরও বলেন, রাজনীতিতে হার-জিত আছে৷ হেরে যাওয়া মানে কি মানুষের পাশ থেকে সরে যাওয়া? যে সকল বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস পরাজিত হয়েছে সেখানেও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা কাজ করছে৷ গণতন্ত্রে এটাই দস্তুর৷ সব রাজনৈতিক দল মানুষের কাছে যাবে৷ মানুষ একপক্ষের কথা গ্রহণ করবে, অন্য পক্ষের কথা বর্জন করবে৷ একপক্ষ জিতবে, একপক্ষ হারবে৷ এর পরেও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মানুষের কাজ করতে হবে৷ গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিতে হবে৷ কিন্তু ওঁরা কোনও দিনই তা করে না৷ ওঁদের একমাত্র লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানো অত সহজ নয়৷ কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরে এসে জুড়ে বসা নেত্রী নন৷