‘সুযোগ দিচ্ছি শুধরে যান, নইলে যে ওষুধ দেব..!’ কেশপুর থেকে কড়া বার্তা অভিষেকের

‘সুযোগ দিচ্ছি শুধরে যান, নইলে যে ওষুধ দেব..!’ কেশপুর থেকে কড়া বার্তা অভিষেকের

কেশপুর: পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেশপুরের জনসভা থেকে দলীয় কর্মীদের কড়া দাওয়াই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেকে তৃণমূলের পাহারাদার বলেও এদিন উল্লেখ করেন তিনি। কেশপুর থেকে দলীয় কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে হুঁশিয়ার করে  তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, “কে কোথায় কী করছেন সব নজর রাখছি। কয়েকজন নেতার কাজে দলের মাথা নত হতে দেব না। যাঁরা ভাবছে মানুষের কাজ না করে ঘুরে বেরাব, সেটা চলবে না। যারা ভাবছেন প্রার্থী হয়ে মানুষের কাজ করব না, তাঁদের উপর নজর রাখা হচ্ছে।”

এদিন কেশপুরের সভা থেকে তিনি আরও বলেন, ‘‘কোন প্রধান কী করছেন খবর রাখছি। ৩-৪ জন নেতার রেষারেষিতে দলের মাথা নীচু হতে দেব না। যারা ভাবছেন সব নামের মধ্যে দু’একটা নাম ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে, বিশ্বাস করুন আমি পাহারাদেরর ভূমিকায় আছি। কিছু হতে দেব না। সুযোগ দিচ্ছি শুধরে যান, না হলে যা ওষুধ দেব মনে রাখবেন।”

এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোনও দাদার তল্পিবাহকের কাজ করলে পঞ্চায়েতের টিকিট মিলবে না। পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেশপুরে আপনারা যারা রাজনীতি করেন, তারা জানেন কে সিপিএম, কে তৃণমূল। যারা ভাবছে নির্বাচনের সময় এক দলের জামা আর নির্বাচন শেষে তৃণমূলের জামা গলিয়ে নেওয়া যাবে, তাদেরকে জানিয়ে দিচ্ছি এ সব চলবে না। জেনে রাখুন সবার উপর একটা অদৃশ্য চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমি খোদ পাহারাদারের দায়িত্বে আছি। সবার খবর আমার কাছে আছে। সবার সামনে জনসমক্ষে বলছি, আমাদের যদি মাথা নত করতে হয় আমরা জনসাধারণের কাছে করব। কারও রেষারেষিতে দলের মাথা নত হলে ছেড়ে কথা বলব না। এক মাস সময় দিচ্ছি, যে ওষুধ প্রয়োগ করব, সে ওষুধ কাজ করা শুরু করলে শুধরানোর সুযোগ পাবেন না। কোনও জেলা সভাপতি, পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী ঘোষণা করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রার্থী ঘোষণা করবেন।”