ওদের মুখে জয় শ্রীরাম, কর্মে নাথুরাম! গেরুয়া বাহিনীকে একহাত অভিষেকের

ওদের মুখে জয় শ্রীরাম, কর্মে নাথুরাম! গেরুয়া বাহিনীকে একহাত অভিষেকের

 

কলকাতা: স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিবস উপলক্ষ্যে এদিন মিছিল বের করে যুব তৃণমূল কংগ্রেস। গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত হওয়া এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী ক্ষেত্রে মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরকে কড়া আক্রমণ করলেন অভিষেক। স্বামী বিবেকানন্দ ইস্যুতেই গেরুয়া বাহিনীকে একহাত নিলেন তিনি। বললেন, বিজেপি শুধু মুখেই বিবেকানন্দের কথা বলে, কর্মে তারা অন্য।

এদিন মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ যা বলেছিলেন তা সকলকে পালন করতে হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের শুধুমাত্র বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করছে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে তারা আদতে বিশ্বাসী নয়। এই প্রসঙ্গে অভিষেকের দাবি, বিজেপি মুখে স্বামীজীর কথা বলে কিন্তু কর্মে ঠিক অন্য। ওদের মুখে জয় শ্রীরাম, কিন্তু কর্মে ওরা নাথুরাম! পাশাপাশি নাগরিকত্ব প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা মেরেছেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বলছে নাগরিকত্ব বিল আনবে, কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলছে। কিন্তু স্বামীজি কখনোই বলেননি কয়েকজনকে নাগরিকত্ব দিতে। তাই অভিষেকের কথায়, বিজেপির অধিকার নেই স্বামীজীর ছবি নিয়ে কথা বলার।

এই প্রসঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম করে কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ভারতে এসে যে স্বামী বিবেকানন্দের নাম ঠিকঠাক উচ্চারণ করতে পারেন না, তাঁর মন্তব্য শুনে পাশে বসে হাততালি দেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলার বিজেপির কোন নেতারাই সেই বিষয়ে প্রতিবাদ করেন না, এদিকে মোদীর জয়জয়কার করেন। এই পরিপেক্ষিতে অভিষেকের হুঁশিয়ারি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিসর্জন হয়ে গেছে, এখন আর কয়েকটা আগাছা পড়ে আছে।

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক আরো বলেন, ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত মিছিল করার চ্যালেঞ্জ ছিল। এত কম সময়ে এত বড় মিছিল আয়োজন অনেক কিছু প্রমাণ করে দেয়। একই সঙ্গে গুজরাতে সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের মূর্তি প্রসঙ্গ টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন করেন, ৩ হাজার কোটি টাকা দিয়ে গুজরাটের মূর্তি বানানো হয়, কিন্তু বাংলায় স্বামীজি কিংবা নেতাজির মূর্তি বানানো হয় না কেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 15 =