কলকাতা: বিজেপি নেতারা একাধিক ইস্যুতে ভাইপো শব্দ ব্যবহার করে কটাক্ষ করেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। এই ভাইপো শব্দ ব্যবহার করে ঠিক তাকে নিশানা করেন তারা সেটা সকলেই বোঝে। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় একেবারে নাম করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন গত বছর ৩১ ডিসেম্বর। তিনি বলেছিলেন, ভাইপোর নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতায় তার বাড়ি কয়লা এবং গরু পাচারের টাকা দিয়ে তৈরি! এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, বাবুল সুপ্রিয়কে যে আইনি নোটিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠাচ্ছেন তাতে লেখা হয়েছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে যে মন্তব্য করেছিলেন সেটা ভিত্তিহীন এবং অপমানকর। এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। এমনকি নোটিশে উল্লেখ রয়েছে, ৭২ ঘন্টার মধ্যে যদি বাবুল সুপ্রিয় ক্ষমা না চান তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরো বলা হয়েছে, ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি যে বক্তব্য বাবুল সুপ্রিয় বলেছেন তা প্রত্যাহার করতে হবে। এমনটা না ঘটলেই পরবর্তী ক্ষেত্রে মানহানির মামলা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সূত্রের খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন বিজেপি রাজ্য দফতরের ঠিকানায়। উল্লেখ্য, এর আগেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সিভিল কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে যে, পরবর্তী ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করার আগে সর্তকতা অবলম্বন করতে হত বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু একবার ফের কয়লা এবং গরু পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে ফেলেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ ডিসেম্বরের সাংবাদিকদের সামনে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি সরাসরি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে বলেন, তিনি গরু পাচার এবং কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত। তার থেকে কাটমানি নেন। এমনকি তিনি যে কয়েক কোটি টাকার বাড়ি বানিয়েছেন তা কয়লা এবং গরু পাচারের টাকা দিয়েই তৈরি! বিভিন্ন সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বিজেপি নেতাদের কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কেউ তাঁর নাম নিতে সাহস পায় না। সাহস থাকলে তাঁর নাম নিয়ে কথা বলতে হবে। এদিকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ভাইপো শব্দ ব্যবহার করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীও।