দিনহাটা: তৃণমূল নেত্রী থেকে এখন ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশ নেত্রীতে পরিণত হচ্ছেন। বাংলা বিধানসভা নির্বাচন জয়ের পর জাতীয় স্তরে ব্যাপকভাবে চর্চিত হতে শুরু করেছেন মমতা। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে সংগঠনের কাজ শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল তাঁকে সামনে রেখে। আগামী দিনে ত্রিপুরা এবং গোয়াতে ঘাসফুল শিবির ভোটে লড়বে বলেও ঘোষণা করে দিয়েছে। এই আবহেই আবার আগামী ৩০ অক্টোবর রাজ্যে চার কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে। তার জন্য চলছে জোরকদমে প্রচার। সেই প্রচারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্রমশ দেশনেত্রী হিসেবে প্রকাশ করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল। আজ সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণে তা আরও পরিষ্কার।
এদিন দিনহাটায় প্রচারে গিয়ে অভিষেক বলেন, ভোটে জেতা-হারা লেগেই থাকে, এক দল জিতবে, এক দল হারবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু বিজেপি নির্বাচনে জিতুক বা হারুক, ভোটের পর তাদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা মানুষের সুখে থাকে না, তবে দুঃখে বা প্রয়োজনে সব সময় পাশে থাকে, তা দল জিতুক কী হারুক। এটাই হচ্ছে বিজেপি এবং তৃণমূলের সবথেকে বড় তফাৎ। তাঁর কথায়, শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা… দেশনেত্রী মমতা ব্যানার্জিই ভরসা। তিনি আরও বলেন, ভোটের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি কিন্তু ভোট মিটলেই ভোকাট্টা হয়ে যায়। তবে, তৃণমূল নির্বাচন জিতুক বা না জিতুক, মানুষের পাশে থেকে কাজ করে।
উল্লেখ্য, হাতে মাত্র আর কয়েকদিন, তারপরেই বাংলার ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হতে চলেছে। খড়দহ, দিনহাটা, গোসাবা এবং শান্তিপুরে আগামী ৩০ অক্টোবর হতে চলেছে উপনির্বাচন। সেই প্রেক্ষিতেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল তিনি গোসাবা এবং খড়দহে প্রচার করেন।