পুরুলিয়া: এবার পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি বিধানসভা কেন্দ্রের জনসভা থেকে বিজেপিকে ফ্রন্টফুটে ছক্কা হাঁকালেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কাল বাদে পরশু রাজ্যে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। প্রথম দফার ৩০টি কেন্দ্রের মধ্যে বাঘমুন্ডিও একটি। সেই বাঘমুন্ডিতেই শেষ বেলায় বিশাল জনসভা করলেন অভিষেক। গত সপ্তাহে আহত পা নিয়ে বাঘমুন্ডিতে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিন অভিষেক বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁচাছোলা ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন। সোনার বাংলা নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “দিলীপ ঘোষ গরুর দুধ থেকে সোনা দেবে, আর সেই সোনা দিয়ে নরেন্দ্র মোদির সরকার সোনার বাংলা বানাবে।”
এদিন বাঘমুন্ডির জনসভা থেকে অভিষেক বলেন, “বিজেপিকে ভোট দেওয়ার খাল কেটে কুমির আনা একই ব্যাপার। বিজেপি খালি জুমলা আর ভাঁওতাবাজির প্রতিশ্রুতি দেয়। আর তাতেই আপনারা বিভ্রান্ত হয়ে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন। এখন বুঝতে পারছেন তো? ৪০০ টাকা গ্যাসের দাম ৮০০-৮৫০ টাকা হয়েছে। কেরোসিনের দাম কত? পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত? আপনাদের সাথে প্রতারণা করেছিল, এবার আপনাদের প্রতারণা করার সময়।” তিনি আরও বলেন, “এরা খালি বড় বড় কথা বলে। কাজের কাজ কিছুই করে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেটা বলে সেটা করে দেখায়। এরা সাত বছর ধরে ধর্মের রাজনীতি করেছে, আর আমরা দশ বছর ধরে উন্নয়নের রাজনীতি করেছি।”
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের আরও বক্তব্য, “ভারতের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করতে পারছেন না বিজেপির রাজ্যের নেতারা। তাই দিল্লি থেকে নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারই করছে। আর এখানে এসে বলছে, মমতা ব্যানার্জিকো উখারকে ফেকুঙ্গা। আরে, জোড়াফুলকে উখারকে ফেকুঙ্গা হয় না। জোড়া ফুল তো ঘাসের দল। ঘাস যত কাটবে তত গজাবে।” এদিনও বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অভিষেক বলেন, “বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে। সেই বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে দেশে ৫০ শতাংশ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পর রাজ্যে ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। ক্যামেরার সামনে বলে গেলাম, কিছু ভুল বললে আমার নামে মামলা করে আমাকে জেলে পাঠিয়ে দেবেন।”
নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করে ঘাসফুল শিবিরের দাপুটে নেতা বলেন, “মোতেরায় সর্দার বল্লভ ভাই প্যাটেলের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামের নাম পাল্টে করে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। এরা ক্ষমতায় এলে কদিন পরেই দেখবেন পুরুলিয়ার নাম পাল্টে করে দিল মোদিলিয়া।”