খড়দহ: বাংলার ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন সংঘটিত হতে চলেছে। খড়দহ, দিনহাটা, গোসাবা এবং শান্তিপুরে আগামী ৩০ অক্টোবর হতে চলেছে উপনির্বাচন। সেই প্রেক্ষিতেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোসাবায় প্রচারের পর খড়দহে প্রচারে যান অভিষেক, সেখানে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভা নির্বাচনে খড়দহে জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা। কিন্তু কোভিড আক্রান্ত হয়ে তাঁর অকাল মৃত্যু ঘটে। তাই সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু এই নির্বাচনের আসল কারণ আজ ব্যাখ্যা করলেন খোদ অভিষেক।
খড়দহে প্রচারে গিয়ে তিনি আজ বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা দিতে গিয়ে বাংলার নির্বাচনকে ৮ ভাগে ভাগ করেছিল। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও কম দফা নির্বাচন হয়নি। এই কারণ, যতদিন গেছে বহিরাগতদের উপক্রমে কোভিড কেস বেড়েছে বাংলায়। অন্যান্য রাজ্যে কম দফা বা এক দফায় ভোট করালেও নির্বাচন কমিশন বাংলায় একটি বিশেষ দলকে রাজনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়ে ৮ দফা ভোট করিয়েছে। ফলে মানুষের সেবা করতে গিয়ে, পাশে থাকতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে বিধায়ক কাজল সিনহাকে, এমনই বলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের হয়ে কাজ করে গিয়েছেন কাজল সিনহা, কিন্তু কমিশনের এই সিদ্ধান্তে তাঁকে হারাতে হল সকলকে।
এর আগে গোসাবায় এই একই ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন, খড়দহ এবং গোসাবায় যাদের মানুষ ভোট দিয়েছিল তারা মানুষের কাজ করতে করতেই প্রাণ হারিয়েছে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে। নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষের কাজ করে গিয়েছে তারা। অন্যদিকে বাকি দুই কেন্দ্রে মানুষ যাদের বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছিল তারা ভোটে জিতে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সাংসদ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হবে বলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ তারা মানুষের রায় প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের স্বার্থের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। অভিষেকের কথায়, এটাই হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির সবথেকে বড় পার্থক্য।