নন্দীগ্রাম: কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামের জনসভা করে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস এখন তাদের হাতে চলে গিয়েছে যারা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায়! মূলত নন্দীগ্রামের একাংশ মানুষকে নিশানা করে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। আজ সেখানে জনসভা করে কার্যত নাম না করে তাকেই উত্তর দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ডিসেম্বর মাসের পর থেকে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের কথা মনে পড়েছে, তাই জন্য এখন এখানে পাকিস্তানের কথা বলা হচ্ছে।
এদিন অভিষেক মন্তব্য করেন, ১০ বছর ধরে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের কথা মনে পড়েনি কারোর, এখন হালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে এই সব কথা মনে পড়ছে। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এখন সংখ্যার ভিত্তিতে মানুষকে ভাগ করছে ওরা। অভিষেকের মন্তব্যে পরিষ্কার তিনি কার কথা বলছেন। কারণ কিছুদিন আগে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, লড়াই হবে ২,১৩,০০০ এবং ৬২,০০০-এর। সেই প্রসঙ্গ এদিন তুলে আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো প্রশ্ন তুললেন, নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যারা মানুষকে ভাগাভাগি করছে সেই সব বেইমানদের নন্দীগ্রাম জবাব দেবে না? নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে গোটা ভারতবর্ষের সামনে যে নন্দীগ্রামকে কলুষিত করছে, তাকে নন্দীগ্রামের মানুষ জবাব দেবে না? নাম করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে এদিন অভিষেক মন্তব্য করলেন, যদি সংখ্যার ভিত্তিতে মানুষের নাম হতো তাহলে একজনের নাম হত ২ লক্ষ ১৩ হাজার এবং অন্য জনের নাম হত ৬২ হাজার। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর নাম শুভেন্দু হত না, হত ৪২০ অধিকারী।
আরও পড়ুন- ভোটের মুখে আর নয় বাইক মিছিল! বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের!
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছিলেন, তৃণমূল এখন তাদের হাতে যারা পাকিস্তান জিতলে বোমা ফাটায়। এই প্রসঙ্গে তিনি নাম নিয়েছেন আমিরুল, সুফিয়ান, সামাদ, শাহাবুদ্দিনের। শুভেন্দুর বক্তব্য, এই সমস্ত লোকদের হাতে চলে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস দলটা। এরাই নন্দীগ্রামের অনেক বুথের মালিক! এর পাশাপাশি শুভেন্দু বলেন, এরা যদি ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে কেউ কপালে টিপ আর কাছা দেওয়া ধুতি পরতে পারবেন না! একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলায় কখনো দূর্গা পূজার বিসর্জন বন্ধ হবে না, সরস্বতী পুজো করতে গেলে বাধা প্রাপ্ত হতে হবে না।