জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস আগে ছিল শূন্য, এখন মাইনাস টু! তোপ অভিষেকের

কলকাতা: ইডির তলবে সাড়া দিয়ে সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পর ইডির দফতর থেকে বেরোন তিনি। আর বেরিয়েই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে তোপ দাগেন তিনি। কটাক্ষ করে বলেন, আগে জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য ছিল, এখন সেটা মাইনাস টু হয়ে গিয়েছে। সিবিআই-ইডিকে তোপ দাগতে গিয়ে তিনি ফেলুদা, জটায়ু প্রসঙ্গও টেনে আনেন। গোয়েন্দা আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি।
অভিষেক এদিন বলেন, তিনি যাতে বিজেপি-বিরোধী জোটের ‘সমন্বয় কমিটি’র বৈঠকে না থাকতে পারেন তাই বেছে বেছে সব দল বাদ দিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধিকেই ডাকা হয়েছে। তাঁর কথায়, এর আগে নিট ফল ছিল জিরো। এখন আরও দু’নম্বর কমল। মাইনাস টু হল। একই সঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, আগামী দিনেও যদি তাঁকে ডাকা হয়, ২৪ ঘণ্টাও যদি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তাতেও তাঁর কিছু যায় আসে না। টানা ৪ দিন জেরা করলেও মেরুদণ্ড বিক্রি হবে না। অভিষেক আরও বলেন, বছরের পর বছর ধরে একাধিক মামলার তদন্ত চলছে, কিন্তু কোনও সুরাহা নেই। ৯ বছর ধরে সুদীপ্ত সেন জেলে, কিন্তু এখনও কটা লোক সারদার টাকা পেয়েছে কেউ জানে না। ১ বছর প্রায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলবন্দি, কোনও সুরাহা হয়নি।
এই প্রসঙ্গেই তিনি ফেলুদার কথা বলেন। অভিষেক দাবি করেন, জটায়ুর মতো আগে থেকে অপরাধী ঠিক করে নিচ্ছে ইডি সিবিআই। ফেলুদা হলে আগে অপরাধ খুঁজত, তারপর অপরাধী। কিন্তু এখন সেটা হচ্ছে না। আগে বেছে নেওয়া হচ্ছে কোন যুবক বা যুবতী কিংবা ব্যক্তিকে অপরাধী বানাতে হবে। তারপর তাঁর ওপর অপরাধ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।