abhisekh banerjee
কলকাতা: রাজনীতিতে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত কি? এই নিয়ে জোর চর্চা শেষ কয়েক দিন ধরেই চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। এর মূল কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে এই ইস্যুতে আলোচনা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর অনুগামীরা দলে নবীনদের সুযোগ করে দেওয়া নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সোমবার ফের একবার এই ইস্যুতে আলোকপাত করলেন অভিষেক। তিনি যা বললেন তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বয়স বাড়লে পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমে যায়। তবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ইস্যুতে যুক্তি কিছুটা এমনই। তবে তিনি যে শুধুমাত্র নিজের দল সম্পর্কে এমন ভাবছেন তা নয়। অভিষেক জানান, কোনও রাজনৈতিক দলে শুধু নয়, যে কোনও জায়গায় বয়সের ঊর্ধ্বসীমা থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি। একজন পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি যে পরিশ্রম করতে পারবেন, তার থেকে কম বয়সী কেউ অনেক বেশি পরিশ্রম করতে পারবেন, এটাই স্বাভাবিক। যদিও অভিষেক এও বলেন, নবীনদের পাশাপাশি প্রবীণদেরও অত্যন্ত প্রয়োজন আছে দলে। কারণ তারা তাঁদের অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন।
শেষ কয়েকদিন ধরে যেন ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে কোন্দল দেখা যাচ্ছে এই ইস্যুতে। নেতা কুণাল ঘোষ অভিষেকের সমর্থনে মুখ খুলেছেন, আবার বর্ষীয়ান সাংসদ-নেতা সৌগত রায় অন্য কথা বলছেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় কেউ আছেন, এমনটা কারোর কথাই নয়। তারা বরং বলছেন, দলের শেষ কথা তিনিই, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই কথাই বলেন। তবে এখানে বিষয় হল, নবীনদের গুরুত্ব বাড়ানো আগামী প্রজন্মের জন্য, ভবিষ্যতের জন্য।
তাহলে লোকসভা নির্বাচনে প্রবীণরা কি টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারেন? এমন প্রশ্ন ওঠা কিন্তু আপাতত শুরু হয়েছে। যদিও এখনই এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই দলের অন্দরমহল থেকে জানা গিয়েছে। একই সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করেছেন, এই সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত একমাত্র দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেবেন। তিনি ছাড়া কেউ নন।