কলকাতা: প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের পদ্ম প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মামলা সরল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবার অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। তবে প্রধান বিচারপতি নন, বিজেপি প্রার্থীর মামলা শুনবেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অভিযোগ, এফআইআর-এর জন্য নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে তাঁর। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে৷ কিন্তু তিনি মামলা শুনতে রাজি হননি৷ বুধবার সেই মামলা গেল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে৷
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ মে৷ তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা দায়ের করা হয়। প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ।
৫ মে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ তমলুক হাসপাতাল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চের কাছে মিছিল পৌঁছতেই গন্ডগোলের সূত্রপাত৷ অভিজিৎ ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দেখেই ‘চোর-চোর’ স্লোগান দেন চাকরিহারারা। এর পরই মিছিল থেকে কয়েক জন বিজেপি কর্মী জুতো নিয়ে চাকরিহারাদের অনশনমঞ্চের দিকে তেড়ে যান৷ মঞ্চের চেয়ারে ভাঙচুর চালানোর পর ইট-পাটকেলও ছোড়া হয়। অনশনমঞ্চে উপস্থিত একাধিক চাকরিহারা শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। এর পরেই অভিজিৎ-সহ বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেন তাঁরা৷ এই ঘটনায় পুলিশের অতি স্বক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আইনজীবী৷ তিনি জানান, অভিজিতের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে তিনি প্রচার করতে পারছেন না৷
