আর্থিক মন্দা, টাকা ছাপিয়ে গরিবদের হাতে দিন, পারামর্শ নোবেলজয়ীর

দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে নোট ছাপানোর দাওয়াই দিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, এখন মূলবৃদ্ধির হার নিয়ে ভাবার সময় নয়৷ দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে গেলে প্রচুর টাকা ছাপিয়ে সরাসরি তা গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে দিতে হবে৷ সচারচর অর্থনীতিবিদরা যে পরামর্শ দেন না, সেই পরামর্শই দিলেন অভিজিৎ বন্দ্যেপাধ্যায়৷ 

b36c45d6d424cc7edf06df52508f60d3

কলকাতা:  দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে নোট ছাপানোর দাওয়াই দিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, এখন মূলবৃদ্ধির হার নিয়ে ভাবার সময় নয়৷ দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে গেলে প্রচুর টাকা ছাপিয়ে সরাসরি তা গরিব মানুষদের অ্যাকাউন্টে দিতে হবে৷ সচারচর অর্থনীতিবিদরা যে পরামর্শ দেন না, সেই পরামর্শই দিলেন অভিজিৎ বন্দ্যেপাধ্যায়৷ 

বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কলকাতায় বণিকসভা ফিকি এবং আইসিসি আয়োজিত বৈঠকে এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘‘প্রথাগতভাবে সাবধানতার পথে হেঁটে এত বড় অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়৷ বাজারে চাহিদা বাজায় রাখতে প্রয়োজনে অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে গরিবদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠাতে হবে৷ এতে মূল্যবৃদ্ধির হার বাড়বে কিনা, তা নিয়ে ভাবার সময় এখন নয়৷ বাজারে চাহিদা বাড়াতে না পারলে, ভবিষ্যতে তার মাশুল দিতে হবে৷’’ অভিজিতের সুরে সুর মিলেয়ে তাঁর স্ত্রী তথা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এস্থার দুফলো বলেন, ‘‘ভারতে যখন জন ধন অ্যাকাউন্টের মতো পরিকাঠামো রয়েছে, তখন তা কাজে লাগানো উচিত৷’’

অভিজিৎ বলেন, নির্মাণকর্মী, ট্রাক চালক বা পণ্য সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ মানুষই পূর্ব ভারত বা বাংলার মানুষ৷ তাঁদের উপার্জন বন্ধ৷ তাঁরা ঠিক মতো পরিবারের ভরণপোষণ করতেও পারছে না৷ লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে অধিকাংশ কলকারখানা৷ সামাজিক দূরত্ব মানতে গিয়ে বন্ধ হয়েছে চাষাবাদ৷ ফলে মানুষ উপার্জন করতে পারছে না৷ এই সকল মানুষের হাতে টাকার প্রয়োজন আছে৷ 
অধিকাংশ রেটিং এজেন্সির মতে, গত কয়েক দশকের মধ্যে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের সার্বিক বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন হতে চলেছে৷ যার জেরে বাজারে চাহিদা কমতে শুরু করবে৷ চাহিদা কমলে উৎপাদনও কমবে৷ অর্থনীতির সমীকরণে কমবে কর্মসংস্থান৷ 

অভিজিৎ বলেন, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে গেলে, চাহিদা বাড়াতে হবে৷ আর এর জন্য টাকা ছাপিয়ে পৌঁছে দিতে হবে গরিব মানুষের কাছে৷ এতে ক্রেডিট রেটিং কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঠিক কথাই৷ কিন্তু তা নিয়ে ভাবলে চলবে না৷ তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও উপায়ে আগে অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে৷ বাকি হিসাব নিয়ে পড়ে চিন্তাভাবনা করা যাবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *