কলকাতা: বামেদের নবান্ন অভিযানে অংশ নিয়ে পুলিশের লাঠিচার্জে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মহিদুল ইসলাম মিদ্যা নামের এক বাম কর্মী। সেই কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। সরাসরি পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাম এবং কংগ্রেস দুই দল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের অমানবিকতার কথা তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসকে তুলোধনা করেছেন আব্দুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী। তাদের অভিযোগ, তরতাজা একটা প্রাণকে খুন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- নবান্ন অভিযানে গুরুতর আহত বাম যুব কর্মীর অকাল মৃত্যু
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই সিপিএম নেতা ডাক্তার ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, পুলিশের লাঠির আঘাতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই বাম কর্মীর শরীর। কিডনিতে ইনফেকশন থেকে শুরু করে ফুসফুসে জল জমা, রাতারাতি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে তার। সেই কারণেই অবশেষে মৃত্যু হয়েছে ওই বাম কর্মীর। বামেদের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, এটি পরিষ্কারভাবে খুনের ঘটনা। পুলিশকে দিয়ে বেধড়ক আক্রমণ করিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। একটা জলজ্যান্ত ছেলেকে খুন করে ফেলেছে এই সরকার। সুজনের সুরে সুর মিলিয়ে বিরোধী নেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, এই স্বৈরাচারী সরকারের যে কাণ্ড ঘটিয়েছে তার প্রেক্ষিতে ধিক্কার দেওয়ার ভাষা নেই তাঁর কাছে। অরাজকতা চলছে সর্বত্র। প্রশাসনের কারোর গায়ে হাত না দিয়ে এইভাবে মারা যেতে হলে ওই কর্মীকে। এর উত্তর সরকারের দেওয়া উচিত। এইভাবে একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সরকার।
আরও পড়ুন- আদি-নব্য দ্বন্দ্বে জেরবার গেরুয়া শিবির! ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নয়া দাওয়াই বিজেপির!
পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম হয়ে ফুয়াদ হালিমের ক্লিনিকেই ভর্তি হয়েছিলেন মইদুল ইসলাম মিদ্যা৷ ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর শারীরির অবস্থার অবনতি হলে মিদ্যাকে ক্যামাক স্ট্রিটের একটি নার্সিংহোম ভর্তি করা হয়৷ পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর মৃত্যু হয়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে DYFI নেতার দেহ৷ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে হবে ময়নাতদন্ত৷ ভিডিও গ্রাফি করা হবে সমস্ত ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া৷ সোমবার ভোর ৭টার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয় মারা যান মইদুল ইসলাম মিদ্যা৷ কিন্তু এই বিষয়ে লালবাজারে কোনও খবর নেই বলেই জানানো হয়েছে৷ বলা হয়, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে৷