দিদির সামনে ‘ভাইজান’! নন্দীগ্রামে আব্বাসের লড়ার সম্ভাবনা

দিদির সামনে ‘ভাইজান’! নন্দীগ্রামে আব্বাসের লড়ার সম্ভাবনা

কলকাতা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেস পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে যোগ করে লড়াই করবে বলে আগেই ঘোষণা হয়েছিল। সেইমতো তাদের মধ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠক চলছে। যদিও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত ভাবে আসন সমঝোতা করতে পারেনি বাম কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। আসন ছাড়ার ক্ষেত্রে বাম, আব্বাস সিদ্দিকীর প্রতি কিছুটা নমনীয় হলেও কংগ্রেস একেবারেই নমনীয় হতে রাজি নয়। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের আসন আব্বাস সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিয়েছে বামেরা! সেই প্রেক্ষিতে আসন্ন নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম আব্বাস সিদ্দিকী লড়াই দেখতে চলেছে রাজ্যবাসী।

সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম আসন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এবার আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে ছেড়ে দিয়েছে সিপিআই। এখানে মূলত সেই সংখ্যালঘু ফ্যাক্টর কাজ করছে বলে ধারণা করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামে নিজেদের আত্মত্যাগ করে সংখ্যালঘু ফ্যাক্টর কাজে লাগাতে চাইছে বামেরা। নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক জনসভা করে ইতিমধ্যেই সেখানকার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার কার্যত সেখানে জোট প্রার্থী হিসেবে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে বিজেপির সুবিধা হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে। কারণ সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হলে অনেকটাই সুবিধা পেতে পারে বিজেপি। 

এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী ঘোষণা করার পর, বিজেপি ক্রমাগত আক্রমণের সুরে তাঁকে সেখানের প্রার্থী হওয়ার জন্যই হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এমনকি বিজেপি নেতার শুভেন্দু অধিকারী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হলে তাকে বিজেপি কমপক্ষে হাফ লক্ষ ভোটে হারবে। যদিও এখনো পর্যন্ত নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে কোনো জল্পনা তৈরি হয়নি। কেউ কেউ মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী হতে পারেন, কেউ কেউ মনে করছেন হয়তো নন্দীগ্রামের প্রার্থী নিয়ে বিজেপি বড় চমক দেবে। তবে এখন আব্বাস সিদ্দিকীর নাম নন্দীগ্রামের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ায়, আসন্ন নির্বাচনের উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দু যে নন্দীগ্রামই হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *