দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়ার কথা আগেই ঘোষণা হয়েছিল আব্বাস সিদ্দিকের ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও দোলাচল চলছে তাদের আসন সমঝোতা নিয়ে। বাম কিছুটা নমনীয় হলেও কংগ্রেস নিজেদের জেতা আসন কিছুতেই ছাড়তে রাজি নয় আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে। এদিকে নিজের সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও অনড় রয়েছেন আব্বাস সিদ্দিকী কারণ তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভাঙড় আসন কিছুতেই ছাড়বেন না। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এই আসুন নিজের দখলে রাখতে আত্মবিশ্বাসী পীরজাদা।
আরও পড়ুন- নিয়ম না মানলে ১৫ দিনের মধ্যে ফের লকডাউন! হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
ভাঙড়ের আসন প্রসঙ্গে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর স্পষ্ট বক্তব্য, তাকে কোথায় আসন দেওয়া হবে বা কোথায় দেওয়া হবে না সে ব্যাপারে তিনি জানেন না, কিন্তু ভাঙড় তিনি কিছুতেই ছাড়বেন না। আব্বাস জানিয়েছেন, সেখানে তিনি হাসপাতাল গড়বেন এবং মা-বোনদের ইজ্জত ফিরিয়ে আনবেন। এর পাশাপাশি কার্যত বাম এবং কংগ্রেসকে এক হাতে নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, তিনি রাজনীতিতে সরাসরি নেমেছেন বলেই ওই দুই দল পতাকা তুলতে পেরেছে না হলে ভয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে ছিল! পীরজাদার কথায়, তিনি রাজনীতিতে না আসলে অনেককেই জেলে পুরে দেওয়া হচ্ছিল, তাই তিনি নিজের দল করে সরাসরি রাজনীতিতে এসেছেন। যদিও আব্বাস সিদ্দিকীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এখনো কোনো রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া মেলেনি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের তরফে। বরং আসন সমঝোতা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে এবং আলোচনার মাধ্যমেই সব ঠিক করা হবে বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- কেন বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের দাম? এই ২ কারণকে দুষলেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী
সাংবাদিক বৈঠক করে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট জোট হিসেবে লড়বে বলে আগেই ঘোষণা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে আসন সমঝোতা নিয়ে কিছুটা হলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্যে। এমনকি বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের জোট বাস্তবায়িত হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি এই জটিলতার সমাধান হয়নি। কারণ আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হলেও ঠিক কোন আসনে কে লড়বেন তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি।