দাদা, বন্ধুর হাতে গণধর্ষণের শিকার বোন,

দাদা, বন্ধুর হাতে গণধর্ষণের শিকার বোন,

বসিরহাট: নাবালিকা ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ তিনজনের বিরুদ্ধে। তার মধ্যে দুই জন নাবালক। বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার আখারপুর গ্রামের ঘটনা। নবম শ্রেণীর ছাত্রী ১৪ বছর বয়স।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বাড়ির সামনে থেকে সন্ধ্যায় একটি ইটভাটায় দিকে নিয়ে যায় তার কাকার ছেলে রুহুল কুদ্দুস। সেও একজন নাবালক, ইটভাটার শ্রমিক। দাদার আর এক বন্ধু সাহিদ গাজি নাবালক, পেশায় সেও ইঁটভাটার শ্রমিক। আর পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বিবাহিত যুবক তোতা যার বাড়ি হাসনাবাদের বরুনহাট এলাকায়। ঐ ছাত্রীকে জোর করে  ইটের গাদায় নিয়ে গিয়ে দাদার দুই বন্ধু ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

বিবাহিত যুবকের নাম তোতা বলে জানা গিয়েছে। পুরো নাম এখনও জানা যায়নি বলে নাবালিকার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে। তারপরে নাবালক ছাত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় যুবক। ছাত্রী প্রথমে বাড়িতে বলতে চাইনি ভয়েতে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পুরো ঘটনাটা বাবাকে বললে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দাদা রুহুল কুদ্দুস, বন্ধু সাইদ গাজি ঐ আরেক পরিচিত বন্ধু যুবক তোতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বসিরহাট থানায়।

 নাবালিকা ছাত্রীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আখারপুর থেকে দাদা রুহুল কুদ্দুস ও নাবালক শ্রমিক সাইদ গাজিকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে,  এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বিবাহিত যুবক তোতা এখনও ফেরার।  আজ শুক্রবার দুজনকে ধ্রুব আশ্রমে পাঠানো হয়।  রবিবার ছুটি থাকায়  অভিযুক্তদের সোমবার সল্টলেকে জুভেনাইল কোর্টে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।এই ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীর বাবা মসিবর গাজি  তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 3 =