কলকাতা: রাজ্যে পুরভোট করাতে ১৭৫ কোটি টাকার কাছাকাছি খরচ হতে পারে। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অর্থ দপ্তরের কাছে ভোটের সম্ভাব্য খরচ হিসাবে এই অঙ্কের বরাদ্দের আবেদন জানিয়েছে । সেক্ষেত্রে পুরভোটের খরচ বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনের খরচ ছাড়িয়ে যাবে বলে অর্থ কর্তাদের অভিমত।
কমিশন সূত্রের খবর, পুরভোটে প্রায় ১৮ হাজার বুথ তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা। প্রথম দফায় শুধু কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ড ও হাওড়া পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের ভোট করাতেই খরচ ৫০ কোটি টাকা । পুরুলিয়া, হাওড়া, কোচবিহার, বীরভূমের মতো জেলার একাধিক পুরসভা বিভিন্ন মহকুমায় অবস্থিত। ওই সব জেলায় মহকুমা স্তরেই গণনাকেন্দ্র তৈরি করতে হবে। তাই, খরচ স্বাভাবিক নিয়মেই বাড়তে পারে বলে কমিশন মনে করছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন দু'ভাবে ভোটের খরচ যোগায়। কমিশনের নিজস্ব খাতে, বুথ পিছু খরচ ধরা থাকে। পাশাপাশি, জেলাশাসকদের মাধ্যমেও ভোটে টাকা বরাদ্দ করা হয়। ব্যালট পেপার ছাপানো বা ইভিএম সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ , পুলিশ ও ভোটকর্মীদের ভাতা দেওয়া , পর্যবেক্ষক নিয়োগের জন্য টাকা বরাদ্দ করতে হয় । কমিশন সূত্রে খবর আসন্ন পুরভোট হবে রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগের খরচ হিসাবের মধ্যে ধরা হয় নি। তা করা হলে খরচের অঙ্ক আরো বাড়ত বলে কমিশন কর্তাদের অভিমত । ভোট গ্রহণ ও গণনার সময় ভোটকর্মীদের খাওয়ার খরচ বাবদ মাথা পিছু ১৫০ টাকা বরাদ্দ থাকে। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে বুথ পিছু খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ বার সেই খরচও কিছুটা বাড়বে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
সম্ভাব্য খর চের অংক আরও বেড়ে যাওয়ার পিছনে কমিশনের কর্তারা মূল্যবৃদ্ধিকেই দায়ী করছে। বিশেষ করে, গাড়ির জ্বালানি বা পেট্রোল-ডিজেলের দাম প্রায় রোজই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সেই জন্যই খরচ অনেকটা বাড়ার আশঙ্কা। ভোটের কাজে গাড়ি নেওয়ার পর তার দৈনিক ভাড়া কত হবে, সেটা দু'বছর আগে পঞ্চায়েত ভোটের সময়েই পরিবহণ দপ্তর থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গাড়ির চালক ও খালাসির দৈনিক ভাতাও স্থির রয়েছে। কমিশন এই বাবদ খরচ মেটায়। তা ছাড়া, ভোটকর্মীদের জন্য বিমা করানো হয়। সেই বিমার প্রিমিয়ামও অনেকটা বেড়েছে। বাড়ছে প্যান্ডেল, জেনারেটরের মতো আনুষঙ্গিক খরচও।