সিবিআই চেয়েছিল, শিক্ষা দফতর জানাল পর্ষদ উধাও নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি ফাইল!

সিবিআই চেয়েছিল, শিক্ষা দফতর জানাল পর্ষদ উধাও নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরি ফাইল!

কলকাতা:  রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলার তদন্তের স্বার্থে পর্ষদের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই৷ কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এর মধ্যে থেকে গায়েব আস্ত একটি ফাইল৷ যার ফলে ওই ফাইল তাঁরা সিবিআইকে দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দিল পর্ষদ। সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষা দফতরের তরফে তাদের জানানো হয়েছে, ওই ফাইলটি পর্ষদের কাছে নেই। বেশ কয়েক মাস ধরেই সেই ফাইলের খোঁজ চলছে৷ 

পর্ষদের এহেন জবাবে হতবাক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। নিয়োগ দুর্নীতির মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার ফাইল কী ভাবে উধাও হয়ে গেল, সেটাই বুঝে পাচ্ছেন না তাঁরা৷ এ নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। পর্ষদের তরফে অবশ্য সিবিআইকে জানানো হয়েছে যে, ২০২২ সালেই ফাইল নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তাঁদের চোখে পড়েছিল৷ এই বিষয়ে বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল বলেও সিবিআই সূত্রে খবর। যদিও সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ফাইল খোঁজার জন্য বিধাননগর পুলিশ কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা স্পষ্ট নয়। শিক্ষা দফতরের তরফেও এ ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি৷ 

প্রসঙ্গত,  রাজ্যের প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে৷ ২০২২ সাল থেকেই এই মামলার তদন্তভার সামবালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্ত। এই দুর্নীতি চক্রে উচ্চ মহলের একাধিক কর্তাব্যক্তিদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। জেলে যেতে হয়েছে খোদ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷ গ্রেফচার হয়েছেন বিধায়ক তথা রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ সংক্রান্ত শীর্ষ কর্তারাও ধরা পড়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারা সংস্থার জালে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এখন জানতে চাইছে, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকেও বড় কোনও মাথা এই দুর্নীতি চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না।
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *