কলকাতা: এবার করোনা আক্রান্ত বাংলার চিকিৎসক৷ বাংলায় এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হলেন ক্রিটিক্যাল কেয়ারে পরিষাবা দেওয়া কোনও চিকিৎসক৷ আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের অ্যানান্থেশিওলজিস্ট আক্রান্ত হয়েছে করোনায়৷ ইতিমধ্যেই তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়েছে৷ চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯৷
জানা গিয়েছে, কমান্ডো হাসপাতালে তিনি এর আগে বহু রোগীর চিকিৎসা করেছেন৷ পরে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে৷ নাইসেড সূত্রে খবর, পঞ্চাশোর্ধ এই চিকিৎসক রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়েছেন৷ চিকিৎকের শরীরে ভাইরাসের সন্ধান মেলায় তড়িঘড়ি নাইসেডের তরফে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকে তথ্য দেওয়া হয়েছে৷ করোনা আক্রান্ত আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট তিনি অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট বিভাগের প্রধান বলে জানা গিয়েছে৷
জানা গিয়েছে, গত ১৭ মার্চ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি৷ গত ১৮ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত তিনি তাঁর বিভাগে কাজ করেছিলেন৷ গতকাল তাঁর অসুস্থতা বাড়তে থাকে৷ তাঁকে প্রথমে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়৷ সিটি স্ক্যান রিপোর্টে সন্দেহজনক ফলাফল ধরা পড়ে৷ প্রথমে চিকিৎসকরা ভাইরাল নিমুনিয়া জাতীয় কিছু মনে করেছিলেন৷ এরপর চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁর নমুনা পাঠানো হয় নাইসেডে৷ সেই নমুনা রিপোর্ট আজ সন্ধ্যায় পজিটিভ এসেছে৷ আপাতত তাঁকে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে৷ তিনি কীভাবে আক্রান্ত হলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে, তিনি যেখানে যেখানে গিয়েছিলেন, সেই সমস্ত জায়গার তালিকা তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে৷ সেনা আধিকারের কাছ থেকেও তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে৷
এই মুহূর্তে সারা ভারতজুড়ে চিকিৎসকদের মধ্যেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বাড়ছে৷ গোটা বিশ্বে ২৫ শতাংশ চিকিৎসক এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কোনও চিকিৎসের শরীরে এই ভাইরাস দেখা না মিললেও এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হলেন আলিপুরের কম্যান্ড হাসপাতালের অ্যানাস্থেশিওলজিস্ট৷ চিকিৎসকদের অনুমান, চিকিৎসার প্রয়োজনে অ্যানাস্থেশিওলজিস্টদের রোগীদের খুব কাছে যেতে হয়৷ রোগীদের কাছে যাওয়ার কারণে তিনি সংক্রমিত হতে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা৷