কলকাতা: পুরনিগমের ক্ষমতাসীন বোর্ডের মেয়াদ বৃহস্পতি বার শেষ হয়েছে৷ পুরনিগম চলাতে শুক্রবার থেকে কাজ শুরু করছে প্রশাসকমণ্ডলী৷ সেই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় বসানো হয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্তকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা ঠুকলেন কলকাতার এক বাসিন্দা। সেই মামলার মূল বক্তব্য, ফিরহাদ হাকিম রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হিসাবে কলকাতা পুরনিগমে নিজেকে প্রশাসকমণ্ডলীর মুখ্য প্রশাসক হিসাবে নিযুক্ত করছেন বলে নোটিস দিয়েছেন! এই পদক্ষেপ কীভাবে সম্ভব! মামলার শুনানিতে কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীকে এক মাসের স্বস্তি দিয়েছে হাইকোর্ট৷
শরদ কুমার সিং নামে কলকাতার অরবিন্দ সরণীর এক বাসিন্দা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন, রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে৷ মামলাকারী হিসাবে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, কলকাতা পুরনিগমে কোথাও প্রশাসক বসাবার কথা আইনে বলা নেই। আবার সাংবিধানিক ভাবে দেশের কোথাও পাঁচ বছরের বেশি কোনও নির্বাচিত বোর্ড ক্ষমতায় থেকে যেতে পারে না। রাজ্য সরকার এখন যেভাবে কলকাতা পুরনিগমের ক্ষমতাসীন বোর্ডকে ঘুরপথে প্রশাসকমণ্ডলী হিসাবে বসিয়ে দিয়েছে তা কার্যত আইনলঙ্ঘন করার নজীর। কলকাতা পুরনিগমের কোনও আইনে প্রশাসকমণ্ডলী বসাবার কথা কোনও আইনে বলা নেই। সব থেকে বড় বিতর্ক এখানেই যে, খোদ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নিজে নিজেকে কলকাতা পুরনিগমের প্রধান প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করছেন। এটা কীভাবে সম্ভব।
কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা দায়ের হওয়ার পর প্রথমিক শুনানিতে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসকমণ্ডলী কাজ চালিয়ে যাতে পারে৷ আগামী এক মাস পর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে৷ ফলে, এই এক মাস প্রশাসকমণ্ডলীর কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর আর কোনও বাধা থাকছে না৷
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গেরুয়া শিবিরের মদতে দায়ের হওয়া এই মামলাতে রাজ্য সরকারও তাঁর সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে তাঁর অভিমত জানাবে। প্রয়োজনে যে আইনি পথে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার ব্যাখাও দেবে। আর এই মামলা দায়ের হওয়া নিয়ে রাজ্য সরকার তাঁর অবস্থান থেকেও সরে আসার কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত দেয়নি।