‘অপা’র ভাণ্ডারে উদ্ধার প্রায় ২০ কোটি, তিন কেজি সোনার বাট! আরও বাড়তে পারে উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক

‘অপা’র ভাণ্ডারে উদ্ধার প্রায় ২০ কোটি, তিন কেজি সোনার বাট! আরও বাড়তে পারে উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক

f1de60bc87b3f337eb3f15b6e92393be

কলকাতা:  ১৫ কোটি টাকা প্রাথমিকভাবে উদ্ধার হল বেলঘরিয়া রথতলার ফ্ল্যাট থেকে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে এদিন সন্ধ্যাতেই টাকার হদিশ পাওয়া যায়। প্রায় তিন ঘণ্টা টাকার গোনার পরে জানা গিয়েছে এই টাকার পরিমাণ। তবে এই টাকার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ  কলকাতার ফ্ল্যাটে মিলেছিল টাকার পাহাড়। এখানে পাওয়া গেল টাকার গালিচা। ইডি আধিকারিকরা মেঝেতে এই টাকা বিছিয়েছেন। যেন মনে হচ্ছে টাকার গালিচা।

তবে কেবল টাকাই নয়, উদ্ধার করা হয়েছে সোনার বাটও। ইডি আধিকারিকদের থেকে প্রাথমিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ কেজি ওজনের সোনার বাট সেই ফ্ল্যাটে রাখা হয়েছিল। সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যে। বুধবার সন্ধের পরেই ব্যাঙ্ককর্মীরা ভল্ট নিয়ে এসেছিলেন। পরে জানা যায়, সেই ভল্টের মধ্যেই নিয়ে যাওয়া হবে সোনার বাট।

চারটি অত্যাধুনিক টাকা গোনার মেশিন নিয়ে আসা হয়েছিল এদিন। এক একেকটি মেশিনে ১ মিনিটে ১০০ টি করে নোট গোনা সম্ভব হয়৷ সন্ধের পর আরও কয়েক জন ইডি আধিকারিক সেই ফ্ল্যাটে পৌঁছেছেন। গোটা বাড়ির চত্বর ঘিরে রাখা হয়েছে। ব্লক ২ ও ৫ নম্বর দুটি ফ্ল্যাটেই হানা দেওয়া হয়েছিল। ৫ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সোনার বাটের বাজার মূল্য কত হবে, তাও খতিয়ে দেখা হবে৷

ইডি আধিকারিকরা ওই আবাসনের রেজিস্ট্রার খতিয়ে দেখেছেন। দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে মাত্র দুবার অর্পিতা সেখানে এসেছিলেন। তাও রাত্রিবাস করেননি। কিছু সময় থেকে চলে গিয়েছেন। এই দুদিন কি অর্পিতা তাহলে টাকা ও সোনা রাখতেই এসেছিলেন? সেইসময় কি অর্পিতার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল? তার সঙ্গে কি বড় লাগেজ ব্যাগ ছিল?  সেইসব প্রশ্ন উঠে আসছে৷ প্রয়োজনে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।

টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। সেখানে এসবিআইয়ের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  এক্ষেত্রে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে এসবিআই ও পিএনবি দুই ব্যাঙ্কের কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে অনেকটাই বেশি?  ইডি কর্তারা ফ্ল্যাটের মেঝেতে প্লাস্টিজ বিছিয়ে টাকা রেখেছেন। পাশাপাশি সরকারি খামও পাওয়া গিয়েছে। বিদেশি মুদ্রাও কি পাওয়া যেতে পারে ফ্ল্যাট থেকে? সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মধ্যেও একটি মজার ঘটনা সামনে এসেছে। এই ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১১ হাজার টাকা করে দিতে হত।  যার কাছে এত টাকা রয়েছে, সে কেন এই সামান্য টাকা আটকে রেখে দেয়! রহস্যের জাল আরও ঘনীভূত, এ কথা বলাই যায়।