বাঁকুড়া ও বনগাঁ: আর মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই পৌর ভোট। তার আগে রাতের অন্ধকারে এক বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার সোনামুখীতে। শুক্রবার রাতে সোনামুখী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর বাড়িতে এই বোমা বাজির ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল বনগাঁ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। উত্তেজিত শতাধিক কর্মী সমর্থকরা দীর্ঘসময় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল।
সোনামুখীর বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘বহিরাগত’দের এনে শাসক দল অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের বহিরাগতরাই রাতের অন্ধকারে তাঁর বাড়িতে বোমাবাজির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। দলের জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে তিনি এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।
এর মাঝেই শনিবার সকালে বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর বাড়িতে দেখা করতে যান ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণগোপাল রায়। পরিবারের লোকেদের সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। একই সঙ্গে বিজেপি প্রার্থী মানস চক্রবর্তীর তোলা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, আমরা সবাই একসঙ্গে ভোট করি। ওঁদের পরিবারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। এসবের পিছনে তৃণমূল নয়, তাঁর নিজের ছেড়ে আসা আর.এস.পি দলের হাত থাকতে পারে বলে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন।
আর.এস.পি-র তরফেও তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অশান্তি সৃষ্টির পিছনে তৃণমূলই দায়ী, অভিযোগ ওই ওয়ার্ডের আর.এস.পি প্রার্থী তপন দত্তের। তিনি বলেন, গত চারবার আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এবারও জিতবো। সবার সাথে আমার ভালো সম্পর্ক। গতবার আমার বাড়িতে চড়াও হয়েছিল, এবার বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে। পুরো বিষয়টি তৃণমূলের ‘চক্রান্ত’ বলে তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধর করার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল বনগাঁ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে। উত্তেজিত শতাধিক কর্মী সমর্থকরা দীর্ঘসময় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল। শুক্রবার রাত দশটা বনগাঁ থানার সমনে এই বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। তিন নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী মলয় আঢ্য। অভিযোগ তৃণমূল প্রার্থী গোপাল শেঠের সহযোগীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷