বোলপুর: বিতর্ক থেকে কিছুতেই দূরে থাকতে পারছে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে তার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীও ফের সংবাদ শিরোনামে। এবার এক অধ্যাপককে বরখাস্ত এবং কয়েকজন পড়ুয়াকে শোকজ করার কারণে তোলপাড় শুরু হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ?
আরও পড়ুন- প্রায় ১২ হাজার কোটির অর্থ সাহায্য, কৃষকদের জন্য বড় ঘোষণা
জানা গিয়েছে, উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক হেনস্তার অভিযোগে এক অধ্যাপককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বিশ্বভারতী। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ভাঙচুরের কারণে ৭ জন পড়ুয়াকে এক বছরের জন্য শোকজ করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওই পড়ুয়াদের নিজেদের ‘নির্দোষ’ প্রমাণ করতে হবে। এদিকে যে অধ্যাপককে বরখাস্ত করা হয়েছে তাঁকে এর আগেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেপথ্যে থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি প্রায় ২ বছর সাসপেন্ড ছিলেন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশ দিয়েছেন যে এই টাকা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেই দিতে হবে। বিশ্বভারতীরই অধ্যাপক দেবতোষ সিনহার দায়ের করা মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অধ্যাপকের আইনজীবী সুবীর সান্যাল আদালতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহকারী অধ্যাপকের সন্তানকে দেখভালের জন্য ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেন তাঁর মক্কেল। ২০২১ সালে সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও। কিন্তু এক বছর পর মামলাকারীকে আচমকা কারণ দর্শনোর নির্দেশ দেন উপাচার্য। জানতে চান, কেন ওই সহকারী অধ্যাপকের ছুটির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছিল। এই নিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই অধ্যাপক।