কলকাতা: মাত্র চার-পাঁচ মাস আগে গঠিত একটি রাজনৈতিক দল৷ আর প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই পুরসভা দখল করে নিল তারা৷ যা পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ৷ পাশাপাশি ২০টি জেলার সার্বিক ফলাফল আগামীদিনে রাজ্য রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে?
আরও পড়ুন- পুরভোটে পর্যুদস্ত সবুজ ঝড়ে! ‘চিন্তন বৈঠকে’ বসছে বিজেপি
উল্লেখ্য, তিনটি পর্যায়ে রাজ্যে মোট ১১৩টি পুরসভা ভোটে তৃণমূল সরাসরি ১০৭টি পুরসভা দখল করেছে৷ এই ফলাফলের নিরিখে ভবিষ্যতের কথা বলতে গেল, বলতেই হবে তৃণমূল কংগ্রেস নির্বিকল্প৷ তৃণমূল কংগ্রেসের ধারেকাছে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই৷
দ্বিতীয় যে ছবিটা উঠে আসছে সেটা হল, ২০১৬-র পর থেকে বিজেপি রাজ্যে প্রধান বিরোধী হয়ে উঠে এসেছিল৷ বিভিন্ন নির্বাচনে পদ্মের ভোট শতাংশও বাড়ছিল৷ এর পর একুশের নির্বাচনে প্রধান বিরোধী হয়ে ওঠে বিজেপি৷ কিন্তু পর পর তিনটি পুরভোটে রাজ্যজুড়ে যে ফলফল হল তাতে স্পষ্ট বিজেপি’র প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গিয়েছে৷ প্রধান বিরোধী দলের ফোকাস খুব ধীরে হলেও বামেদের দিকে ঘুরছে৷ আজকের ফলাফলেও দেখা গিয়েছে বিজেপি কার্যত ২৩ শতাংশ ভোট হারিয়েছে৷ একই সঙ্গে বিধানসভায় যে বামেরা মাত্র ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, তাদের ভোট শতাংশ বেড়ে ১৪৷
তৃতীয়ত, উত্তরবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপি অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা গড়ে তুলেছিল৷ বিধানসভায় ৫৪টি আসনের মধ্যে ৩০টিতে আসনে জয়ী হয়েছিল৷ সেই উত্তরবঙ্গেও ধুয়েমুছে সাফ বিজেপি৷ একটি পুরসভাও তাঁদের দখলে আসেনি৷ উল্টে ২০১৫ সালে যে কটি ওয়ার্ডে তাঁরা জয়ী হয়েছিল, সেই ওয়ার্ডগুলিও হাতছাড়া হয়েছে৷ পাহাড়ের রাজনীতিতেও নতুন সমীকরণ উঠে এসেছে৷ বিমল গুরুং ও তৃণমূল কংগ্রেসের পরোক্ষ জোটও দাগ কাটতে পারেনি পাহাড়ের মনে৷ বরং উঠে এসেছে হামরো পার্টি৷
অন্যদিকে, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার দিকে তাকালে দেখা যাবে, একুশের নির্বাচনে কিছুটা দাগ কাটতে পেরেছিল৷ দুই জেলা থেকে ১২টি বিধানসভা আসনও তাঁরা পেয়েছিল৷ কিন্তু পুরসভা ভোটে সমস্ত পুরসভায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ পাহাড় এবং জঙ্গলমহল থেকে প্রত্যাশা থাকলেও হতাশা জনক পারফরম্যান্স বিজেপি’র৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>