বিধানসভায় সাধন পাণ্ডেকে শেষ শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর, নিমতলা শ্মশানে হবে শেষকৃত্য

বিধানসভায় সাধন পাণ্ডেকে শেষ শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর, নিমতলা শ্মশানে হবে শেষকৃত্য

কলকাতা: আজ রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের শেষকৃত্য৷ পিস ওয়ার্ল্ড থেকে কাঁকুরগাছির পৈতৃক বাড়ি হয়ে বিধানসভায় পৌঁছল সাধন পাণ্ডের মরদেহ৷ সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে তাঁকে৷ তাঁর মরদেহর সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ও কন্যা৷ বিধানসভায় এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রয়েছেন মন্ত্রী সুজিত বসু, জাভেদ খান, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, তাপস রায়, সুদীপ বন্দোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে৷ দীর্ঘ দিনের সহকর্মীকে হারিয়ে ব্যথিত দলের সদস্যরা৷ বিধানসভা থেকে বিডন স্ট্রিট হয়ে নিমতলা শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে সাধন পাণ্ডের মরদেহ৷ 

আরও পড়ুন- ‘ভাষা-মোদের ভালবাসা..’ ভাষা দিবসে শুভেচ্ছা মুখ্যন্ত্রীর, জেনে নিন ২১ ফেব্রুয়ারির ইতিহাস

এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে, সাধন পাণ্ডের জনপ্রিয়তা ছিল প্রশ্নাতীত৷ তিনি ছিলেন বড় সংগঠক৷ বললেন পরেশ পাল৷ অজিত পাঁজার ছাত্রছায়াতেই এআইসিসি-তে নিজের যোগাযোগ বাড়িয়ে তুলেছিলেন সাধন। অল্প সময়ের মধ্যেইই সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্রকুমারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। কলকাতার কয়েকজন প্রথম সারির নেতার পাশাপাশি ঘনঘন দিল্লিতে যাতায়াত শুরু হয় তাঁর৷ ১৯৮৪ সালের ডিসেম্বর মাসে লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা উত্তর-পূর্ব আসন থেকে জিতে প্রথমবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হন অজিত পাঁজা। এর পরেই বড়তলার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ১৯৮৫ সালের মার্চে অজিত ও রাজেন্দ্রকুমারীর সমর্থনে বড়তলা থেকে বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হন সাধন পাণ্ডে৷ সেই থেকে টানা নয় বার বিধানসভার সদস্য হয়েছেন তিনি৷ বিধানসভা ভোটে তিনি ছিলেন অপরাজিত৷ রাজ্যে একমাত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়ই তাঁর চেয়ে বেশিবার বিধায়ক হয়েছিলেন৷ 

৯৮৫-র উপনির্বাচনের পর ১৯৮৭, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বড়তলা কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় যান সাধন পাণ্ডে৷ তবে ১৯৮৫ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বিধায়ক। ২০০১ থেকে আমৃত্যু তিনি ছিলেন তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক। ১৯৮৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তর থেকে তৃণমূলের প্রার্থী হন অজিত পাঁজা৷ ওই কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন সাধন৷ কিন্তু সেবার শোচনীয় পরাজয় হয় তাঁর৷ একদা রাজনৈতিক গুরুর সঙ্গে সাধনের মনোমালিন্য পৌঁছেছিল চরমে৷ এরপর ২০০১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি৷ বড়তলা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন৷ সেই সময় দলনেত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও পরে যাবতীয় সংঘাত ভুলে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন সাধন পাণ্ডে৷