চাকদহ: কল আছে, কিন্তু জল নেই! টাইম কলে জলের জন্য সারা দিনের বরাদ্দ সময় দশ থেকে বড় জোড় পনের মিনিট৷ ব্যাস, ওই টুকুই৷ এর পর যতই কলের প্যাচ ঘোরাও, এক ফোঁটাও জল মিলবে না৷ মিনিট পনেরো জল দিয়েই সরবরাহ বন্ধ করছে পিএইচই দফতর। তাই এই গ্রীষ্মেও জলের হাহাকার চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপি সহ গোটা চাকদহ ব্লকে।
আরও পড়ুন- জেলেই থাকতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে, জামিনের আর্জি গৃহীত হল না
এমনটা হওয়ার কারণ কী? জানা গিয়েছে, গঙ্গার জল থেকে পরিশ্রুত পানীয় তৈরি করা নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ এখানে চারটি রিজার্ভার রয়েছে৷ তার মধ্যে দুটো রিজোর্ভার একেবারে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকি দুটো রিজার্ভার থেকে পানীয় জল পাম্পিং করে ফিল্টার করা হচ্ছে৷ সেটুকু জল দিয়েই তেরটি ট্যাংকের মাধ্যমে পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এলাকায়৷ ফলে খুব অল্প সময়ের জন্য টাইম কলে জল আসছে৷ যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দানা বেঁধেছে৷
পিএইচই ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথা চাকদহ ব্লক আধিকারিক অনীশ রঞ্জন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে প্রথমে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তিন চারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি৷ পরে ফোন ধরেন। জলের সমস্যা কথা বলতেই তিনি বলেন, বাবাকে নিয়ে ব্যাস্ত আছি পরে ফোন করুন। গোটা চাঁদুড়িয়া অঞ্চলে যখন জল নিয়ে হাহাকার, তখন চাকদহ পলাগাছা পিএইচই প্ল্যানন্টে গিয়ে কারও দেখা মেলেনি৷
চাঁদুড়িয়া এক নম্বর জিপির প্রধান শেফালী দাস হালদারের কথায়, অনেক দিন ধরেই চাঁদুড়িয়া অঞ্চলের মানুষ জল-কষ্টে ভুগছেন৷ পিএইচই দফতরে বারবার চিঠি দিলেও কোন লাভ হয়নি৷ কোনও উত্তর মেলেনি৷ মূল সড়কের উপর থাকা কলে জল এলেও, অলিগলির মধ্যে জল আসছে না। ফলে প্রবল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ যাঁরা আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল, তাঁরা বাড়িতে জলের পাম্প বসিয়ে নিয়েছেন৷ কিন্তু, যারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, তাঁদের অবস্থা শোচনীয়। পয়সা দিয়ে জল কিনে খাওয়াটাও তাঁদের কাছে বিলাসিতা৷ এই পরিস্থিতিতে চাঁদুড়িয়ার বাসিন্দারা পিএইচই দফতরের উপর চটে লাল৷ অবিলম্বে জলের সুরাহা না হলে চাকদহ পলাগাছা এবং কল্যানী পিএইচই দফতরের সামনে গণ আন্দোলন করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>