কলকাতা: ফের সামনে এসেছে শিক্ষাঙ্গনে কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ৷ এই প্রসঙ্গেই শিক্ষাঙ্গনের বেনিয়মের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মেদিনীপুরের সাংসদ। শনিবাসরীয় সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, এসএসসি কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘গ্রুপ সি মামলায় দোষী সাব্যস্ত এসপি সিনহা,পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই।’’ মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘যখনই সিবিআই ডাকে, ইডি ডাকে ওরা কোর্টে চলে যান৷ হাসাপাতালে ভর্তি হয়ে যান। কেন ওখানে যান, সেটা এখন বোঝা যাচ্ছে।’’
দাবি করেছেন, ‘‘এনকোয়ারি যতগুলো কমিটি তৈরি হয়েছে সত্যি সত্যি এই সমস্ত কমিটির রিপোর্ট সামনে এলে এইধরনের অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়বে। কারণ, নিয়োগের ক্ষেত্রে কয়েকশো কোটি টাকা এরা কালেকশন করেছে। এত বড় দুর্নীতি। প্রত্যেকটি পরীক্ষাতে দুর্নীতি হয়েছে এই সরকার আসার পরে।’’ বাংলার ‘মর্যাদা’ নিয়েই এদিন প্রশ্ন তুললেন দিলীপ, ‘‘কাদের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে? আগের লোকেদের ছোট করা হচ্ছে নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বড় করা হচ্ছে!’’ দাবি করেছেন, ‘‘মহাজাতি সদনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়ে গেল! তিনিও মনীষীদের পর্যায়ে চলে গেলেন! সাহিত্য একাডেমির পুরস্কারও হয়ে গেলে। পরবর্তী নোবেল পুরষ্কারের জন্য নামও পাঠানো হবে!’’
নন্দনে অনীক দত্তের অপরাজিত স্ক্রিনিং করতে না দেওয়ার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে দিলীপ বলেছেন, ‘‘আমি জানি না কি রাজনীতি চলছে নন্দনে। ওদের পার্টির লোকেদের ছবি প্রকাশ করতে দেন না। এমপি দেবের সঙ্গেও এইধরনের ঘটনা ঘটেছে। রিলিজ করতে দেওয়া হয়নি, ওখানে আলাদা হিসাব হয়। এইভাবে শিল্প সাহিত্য কাব্য কলুষিত করা হচ্ছে৷ এতে বাংলার মর্যাদাহানি হচ্ছে৷!’’
বিজেপির রাজনীতির মূলধন সাম্প্রদায়িকতা৷ শনিবার সন্ধ্যায় এই অভিযোগে করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ৷ সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে দিলীপ বলেন, ‘‘সবাই জানে আমরা সাম্প্রদায়িক। ওনারা আমাদেরকে তকমা দিয়েছেন। এই তকমা সত্ত্বেও কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী পর্যন্ত মানুষ আমাদের স্বীকার করে নিয়েছেন। আমরা ক্ষমতায় আছি!’’ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘তবু আমাদের দুহাজার এমএলএ আছে। ওনাদের কেন গ্রহণ করছেন না। ত্রিপুরা, গোয়া, উত্তরপ্রদেশ, অসম সব জায়গায় কোটি কোটি টাকা খরচা করেও একটা পঞ্চায়েতও জিততে পারলেন না। তাই ওইধরনের সার্টিফিকেট দেওয়ার দরকার নেই। আপনি আপনাদের কাজে করুন, আমরা আমাদের কাজ করছি। লোক যাকে গ্রহণ করেছে, তাকে মানতে হবে।’’ অভিযোগ করেছেন, ‘‘গায়ের জোরে লোক দিয়ে গুন্ডা দিয়ে পুলিশ দিয়ে বাংলায় রাজনীতি করেছেন। চারিদিকে হাহাকার চলছে সেই দিকে খেয়াল করুন। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে ভাবতে হবে না, দিলীপ ঘোষ মানুষের সঙ্গে আছে।’’