নদীয়া: মা ক্যান্সারে আক্রান্ত। দুই ছেলে হাঁটাচলা করতে পারে না। অভাবের সংসারে সংসার ছেড়ে পালাল বাবা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার বীরনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর পালিত পাড়া এলাকা।
বাসিন্দারা জানান, দীপক সরকার (২২), পংকজ সরকার (১৭) এদের দুজনের কেউই কথা বলতে পারে না। না পারে ঠিক মত চলাফেরা করতে৷ বয়স যত বাড়ছে ততোই আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওই দুই কিশোর। কঠিন ব্যয়বহুল রোগে আক্রান্ত ওদের তিনজনের। তিনজনের সংসারে তার বাবা কালু সরকার হকারি করে সংসার চালাতেন। মা, অর্চনা সরকার তিনি পরের বাড়িতে রান্নার কাজ করে সংসারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন৷
গত দু’বছর আগে মা অর্চনা সরকারের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ার পর রান্নার কাজটিও চলে যায় তার৷ সেই যে তার বাবা বাড়ি ছেড়েছেন আর বাড়ি আসেনি। কাজ চলে যাওয়ার পর আর সেভাবে কাজ জোটেনি । এখন অভাবকে সঙ্গী করে চলতে হচ্ছে তাদের তিনজনের। মাথা গোঁজার ঠাঁই বলতে সরকারের দেওয়া এক খানি ঘর এবং লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের ৫০০ টাকা। একদিকে ক্যান্সারের চিকিৎসা অন্যদিকে দুই ছেলের সেবা করা৷ কঠিন সংগ্রামের মুখে দাঁড়িয়ে ওদের সকলে। ফলে সরকার পরিবার এখন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে তাকিয়ে।
জানা গিয়েছে, অর্চনাদেবীর দুই ছেলে ছোটবেলায় বেশ চলাফেরা করত৷ তারা দুজনে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ অসাড় হয়ে যাচ্ছে তাদের শরীর। ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা তাদের কাছে মোটেই সম্ভব হচ্ছে না। একদিকে খাওয়া অন্য দিকে চিকিৎসা কোনটাই ঠিক ঠাক হচ্ছে না। সহায় সম্বল বলতে আর কিছুই নেই। তাদের একটাই দাবি, যদি কোন সহৃদয় ব্যক্তি তাদের সাহায্য করেন তাহলে বাকি কটা দিন একটু স্বস্তিতে কাটাতে পারবেন।