কাটোয়া: কাটোয়া হাসপাতালে কেউ ফেলে প্ল্যাস্টিকে মুড়ে ফেলে রেখে গিয়েছিল মৃত শিশু। সেই মৃত শিশুকে কুকুরের খুবলে খাওয়ার ঘটনায় চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনায় শৌভিক আলম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। কীভাবে কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে হাসপাতাল চত্বরে মৃত শিশু ফেলে দেওয়া হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে মৃত শিশু প্রসব করার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে কি না, তা দেখতে চেয়েছেন হাসপাতালের সুপার বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়ার এক নম্বর ব্লকে পলসনা গ্রামের এক মহিলা প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ২২ মে ভর্তি হন। তিনি ২৩ তারিখে একটি প্রিম্যাচিউর শিশুর জন্ম দেন। নিয়ম অনুযায়ী মৃত শিশুর পরিবার দাবি করলে তাদের হাতে সদ্যোজাতের দেহ তুলে দেওয়া হয়। না দাবি করলে হাসপাতালের ওয়েস্টেজ রুমে রেখে দেওয়া হয়। শিশুটির পরিবারের দাবি অনুযায়ী দেহটি তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ওই পরিবার শিশুটির দেহ প্ল্যাস্টিকে মুড়ে হাসপাতালে ফেলে গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন নিশ্চিত নন। এই বিষয়ে তদন্তের প্রয়োজন বলেও হাসপাতালের তরফে মনে করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
বুধবার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল চত্বরের মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিলেন সকলে। হাসপাতাল চত্বরে প্ল্যাস্টিকে মোড়া রয়েছে সদ্যোজাত শিশুর দেহ। সেটাই খুবলে খাচ্ছে কুকুর। হাসপাতাল কর্মীরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ক্ষত বিক্ষথ সদ্যোজাত শিশুর দেহ উদ্ধার করে। বর্তমানে শিশুটির দেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। শিশুটির দেহ কে ফেলেছে সেই নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।