বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগন্তুক হাফিজুলের পরিবারের

বিস্ফোরক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগন্তুক হাফিজুলের পরিবারের

 

কলকাতা: কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর ফাঁক গলেই  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি৷ কখন, কী ভাবে তিনি সেখানে ঢুকে পড়েছিলেন তা জানা না গেলেও রবিবার সকালে নিরাপত্তা রক্ষীদের নজরে আসতেই তাঁকে আটক করা হয়৷ তুলে দেওয়া হয় লাল বাজারের হাতে৷ জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে চলে যাওয়া আগন্তুক, ধৃত ওই ব্যক্তির নাম হাফিজুল মোল্লা৷ এই ঘটনায় রীতিমতো শরগোল বেঁধেছে৷ তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গ্রামে পৌঁছনোর পর উঠে এল এক বিস্ফোরক তথ্য৷ হাফিজুল মোল্লার বাবার কথা শুনে চক্ষু চড়কগাছ। 

আরও পড়ুন- রানি রাসমণির সঙ্গে এবার মমতার তুলনা! বিতর্কের কেন্দ্র বিশ্বজিৎ

হাফিজুলের বাবা জানান, তাঁর ছেলে মানসিক ভাবে অসুস্থ৷ কলকাতার মেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে৷ গত ছয় মাস ধরে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ তিনি আরও জানান, বাড়িতে থাকলেই স্ত্রীর উপর অত্যাচার করে, তাঁকে মারধর করে ছেলে৷ এর আগে একবার নবান্নেও ঢুকে পড়েছিলেন তিনি৷ খবর পাওয়ার পর ছেলের মানসিক সমস্যার কথা পুলিশ আধিকারিকদের জানান তিনি৷ তার পর অবশ্য ছাড়া পেয়ে যান হাফিজুল৷ এবার একেবারে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে! কিন্তু তাঁর উদ্দেশ্য কী? কেন বারবার এমনটা করছেন? এর জবাবে হাফিজুলের বাবার যা বললেন, তা শুনে সকলেরই চোক্ষু ছানাবড়া!

ইতস্তত করেই তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে থাকলেই বউকে মারধর করত হাফিজুল। বলত তুমি ভালো বউ নও৷’’ তবে ছেলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকার বিষয়টা জানতেন না তাঁর বাবা৷ জানতেন না স্ত্রীও৷ খবর পান টিভি দেখে। 

হাফিজুল মোল্লার বাড়িতে বাবা ছাড়াও রয়েছে স্ত্রী, চার বছরের একটি কন্যা সন্তান,  দাদা, ও বৌদি৷ হাফিজুল পেশায় গাড়ি চালক৷ কলকাতায় গাড়ি চালান৷ তাঁর বাড়ির লোকজনের বক্তব্য, মানসিক রোগী বলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, এর আগে মদ্যপ অবস্থায় অশান্তি করার জন্য তাঁকে গ্রাফতার করেছিল হাসনাবাদ থানার পুলিশ৷ এর পর নানা আজগুবি ঘটনা ঘটিয়ে শিরোনাম এসেছেন হাফিজুল। তাঁকে নিয়ে প্রতিবশীরা খুব বেশি মুখ খুলতে না চাইলেও, তাঁদের বক্তব্য হাফিজুলের মাথায় গন্ডগোল রয়েছে৷ তাঁর মাথার ব্যামোর কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সিরাজুল ঘরামিও৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *