কৃষ্ণনগর: পাঁচ মাস বাদে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে কঙ্কাল তুলে শুরু হল বধূ হত্যার তদন্ত ৷ যার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নদীয়ার কালিগঞ্জের পলাশী নতুন পাড়া এলাকায়৷
আদালতের নির্দেশে এদিন কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে করব থেকে কঙ্কাল তোলা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূ্রের খবর, কালিগঞ্জ থানার পলাশী ২ নং গ্ৰাম পঞ্চায়েতের পলাশী নতুন পাড়ার বাসিন্দা সুজাউদ্দিন সেখের সঙ্গে পলাশী জানকি নগরের বাসিন্দা রোজিপা খাতুনের বিয়ে হয়। ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ছেদ ঘটে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে। পারিবারিক অশান্তির জেরে গৃহবধূ রোজিপা খাতুনকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনার পর পর দেহটি তড়িঘড়ি শ্বশুরবাড়ির লোকজন কবর দিয়ে দিলেও বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি রোজিপার বাপের বাড়ির লোকজন। হত্যা করে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে বধূ হত্যার মামলা রুজু হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারকের নির্দেশে শনিবার বিকেলে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আদালতের পর্যবেক্ষণে কবর থেকে লাশটি তুলে পুনরায় তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হল। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। তবে মৃত বধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যয়নি৷ অন্যদিকে নিহত বধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের দাবি, ‘‘তাঁদের মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে৷ পুলিশ সঠিকভাবে তদন্ত করলে অপরাধীরা ধরা পড়বে৷’’ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু হওয়ায় তাঁরা সুবিচারের আশা দেখছেন৷