কাকদ্বীপ: এ যেন কোন বলিউড সিনেমার দৃশ্য! শারীরিক পরীক্ষা করার সময় পুলিশ ও হাসপাতাল কর্মীদের নজর এড়িয়ে রুমের জানালা দিয়ে চম্পট দিল সহবাসে অভিযুক্ত আসামী। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা কাকদ্বীপ স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনার জেরে প্রশ্নের মুখে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আসামির নাম সাদ্দাম হালদার৷ বাড়ি ঢোলাহাট থানার জামালপুরে । বিবাহ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করার অভিযোগে শুক্রবার ঢোলাহাট থানার পুলিশ সাদ্দামকে গ্রেফতার করে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৭, ৪১৭ ধারায় মামলার রুজু করা হয়েছে। শনিবার কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করার কথা ছিল সাদ্দামকে। সেই মতন কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সাদ্দামের শারীরিক পরীক্ষা করতে নিয়ে যায় ঢোলাহাট থানার পুলিশ। শারীরিক পরীক্ষা করার সময় সকলের নজর এড়িয়ে চম্পট দেয় সাদ্দাম।
হাসপাতাল থেকে আসামী পালিয়ে যাওয়ার খবর মুহূর্তের মধ্যে চাউড় হয়ে যায় সব জায়গায়। পলাতক সাদ্দামকে গ্রেফতার করার জন্য সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ খোঁজ খুঁজি শুরু করে দেয়। বেশ কয়েক ঘন্টা চেষ্টায় অবশেষে কাকদ্বীপ হারুউড পয়েন্ট কোস্টাল থানা এলাকা বাসন্তী ময়দান এলাকা থেকে ধরা পড়ে পলাতক আসামী। বেশ কয়েক ঘন্টা পর ধৃত সাদ্দাম হালদারকে কাকদ্বীপ মহকুমার আদালতে পেশ করলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। প্রকাশ্য দিবালোকে হাসপাতাল থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় হাসপাতালের নজরদারির ওপর প্রশ্ন উঠেছে।