কলকাতা: প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ‘গণতন্ত্রে’র কথা বললেও আদতে বাংলাকে ‘গণতন্ত্রের গ্যাস চেম্বারে’ পরিণত করেছে তৃণমূল৷ বিভিন্ন সভা-সমাবেশ থেকে বারে বারে এই অভিযোগে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘মনোনয়নের পর সামনে আসা চিত্র সেটাই আরও একবার প্রমাণ করল৷’’
বস্তুত, ভোটের আগেই কার্যত রাজ্যের দুটি পুরসভার ক্ষমতা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দখল করেছে তৃণমূল৷ অভিযোগ, বিরোধী প্রার্থীদের কোথাও ঘরবন্দী করে কোথাও বা ধমক দেখিয়ে মনোনয়নই জমা দিতে দেওয়া হয়নি৷ যার ফলে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি হতে চলা রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় নির্বাচনের আগেই একাধিক ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল৷ এরই প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে ভোট বাতিল করে পুন:নির্বাচনের দাবিতে সরব গেরুয়া শিবির৷ এবিষয়ে আদালতে যাওয়া নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু করেছেন তাঁরা৷
বীরভূমের সাঁইথিয়া পুরসভার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বাম প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বাকি ১৩টি আসনে বিরোধীদের কোনও প্রার্থী না থাকায় বিনা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কার্যত এই পুরসভার ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল। একই ঘটনা ঘটেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক দক্ষিণ ২৪ পরগণার বজবজে৷ বজবজ পুরসভার মোট ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩ টি ওয়ার্ডে বিরোধী দলের কোনও প্রার্থী নেই৷ ফলস্বরূপ বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বজ বজ পুরসভা দখল নিল তৃণমূল। কোচবিহারের দিনহাটাতেও অনেকটা একই চিত্র৷ ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটিতে ভোটের আগেই জিতে গিয়েছে তৃণমূল।
স্বাভাবিকভাবেই ভোটের নামে প্রহসনের অভিযোগে সরব গেরুয়া শিবির৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘বাংলায় যে গণতন্ত্র নেই, এঘটনা থেকেই সেটা স্পষ্ট৷ ভোট তো দূরের কথা, ওরা হেরে যাওয়ার ভয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেইনি৷ তাই ভোট বাতিলের দাবি জানাচ্ছি৷ প্রয়োজনে আদালতে যাব৷’’