নদীয়া: শিক্ষার ইচ্ছা থাকলে বয়স যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় না, তার অন্যতম নজির সৃষ্টি করলেন পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহাপ্রভু পাড়ার বাসিন্দা এক গৃহবধূ।
সোনালী কুণ্ডু নামে ওই গৃহবধূর নবম শ্রেণিতে পড়তে পড়তে অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। আর তাই আর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেননি তিনি। যদিও মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন। অবশেষে ৫৫ বছর বয়সে পা দিয়েই তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিলেন শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় থেকে।
সোনালীদেবীর ছেলের বয়স ২৮ বছর। তাঁর ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বর্তমানে চাকরি করছেন। যদিও মায়ের সুপ্ত ইচ্ছার কথা জানতে পেরে তিনি মাকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট উৎসাহিত করেছেন। স্ত্রীকে উৎসাহ দিয়েছেন সোনালীদেবীর স্বামীও। নদীয়ার শান্তিপুর মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের সঙ্গে থাকা রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় সেন্টারে গত বছর করোনা পরিস্থিতির সময় থেকে এখনও পর্যন্ত অফলাইন ক্লাস চালু হয়নি। পরীক্ষা হয়েছে অনলাইনেই।
ওই সেন্টারের ৩৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সোনালী কুন্ডু একজন যে এবছর অনলাইনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন। বুধবার অংক পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয়েছে পরীক্ষা। সেন্টারে তিনি খাতা জমা দিতে এসেছিলেন। এই বয়সে ভালোভাবেই পরীক্ষা দিতে পেরে তিনি পাস করার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী।