কোন অফিসারকে মেয়ের চাকরির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন? প্রশ্নের মুখে পরেশ অধিকারী

কোন অফিসারকে মেয়ের চাকরির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন? প্রশ্নের মুখে পরেশ অধিকারী

কলকাতা:  কীভাবে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম মেধাতালিকায় শীর্ষে পৌঁছে গেল, সেই নিয়েই মামলা হতেই উঠে আসতে শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর নাম। নিজের প্রভাব খাটিয়ে তিনি কাউকে এই কাজ করতে বাধ্য করেছিলেন কি না, সেটাই জানতে চান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে  পরেশ অধিকারীকে। 

 বৃহস্পতিবার বিমান বন্দর থেকে মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সোজা সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন। সেখানে তদন্তকারী আধিারিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। কিন্তু পরেশ অধিকারির উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তদন্তকারী অধিকারিকরা। তাই শুক্রবার তাঁকে সিবিআই ফের ডেকে পাঠায়। শুক্রবার সকালেই সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন পরেশ অধিকারী বলে জানা গিয়েছে। 

সূত্রের খবর, সিবিআই পরেশ অধিকারীকে তাঁর মেয়ের মেধা তালিকায় নাম উঠে আসা নিয়ে প্রশ্ন করতে চলেছেন। মনে করা হচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকেরা জানতে চাইবেন, শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিটা কী?  তালিকায় একেবারে পিছনে থাকার পরেও তাঁর মেয়ের চাকরি কীভাবে হল?  এই বিষয়ে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে কিছু জানিয়েছিলেন কি না?  মেয়ের চাকরির জন্য তিনি কাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বা অনুরোধ করেছিলেন?  সেক্ষেত্রে তিনি লিখিত সুপারিশ করেছিলেন না কি ফোনে অনুরোধ করেছিলেন?  কোন অফিসার তাঁর মেয়ের চাকরির দায়িত্ব সামলেছিলেন? আপনার মেয়ে ছাড়া আরও কারও চাকরির অনুরোধ করেছিলেন?  মেয়ের চাকরির জন্য কাউকে টাকা দিতে হয়েছিল কি না? 

জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবারও এই ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছিল পরেশ অধিকারীকে। কিন্তু তাঁর উত্তরে আধিকারিকরা সন্তুষ্ট নন। সেই কারণে তাঁকে সিবিআই আবার ডেকে পাঠান। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবেই অঙ্কিতা অধিকারী নিজেকে শিক্ষিকা হিসেবে পরিচয় না দেন। মন্ত্রীর মেয়ে যাতে স্কুলে যেতে না পারেন, সেই বিষয়ে ডিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এত দিন ধরে অঙ্কিতাকে যে বেতন দেওয়া হয়েছে, দুই কিস্তিতে তা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + fifteen =