কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্ট রামপুরহাট কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি বলেছে, সিট আর কোনও তদন্ত করতে পারবে না, রাজ্য সরকারকে সমস্ত সহযোগিতা করতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তে। আদালতের এই রায়ের পর খুশি হয়েছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যে খুশি হবে না তা এক প্রকার অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানালেন, সিবিআই তদন্তে তারা পুরোপুরি সহায়তা করবেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও বাধা দেবে না। কিন্তু এখানেও একটি ইস্যু রয়েছে, যার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন-সরকারের গালে চড়! বগটুই কাণ্ডে সিবিআই আসায় খুশি বিজেপি
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ”আদালত রামপুরহাট কাণ্ডে যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এই তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে, কোনও রকম বিরোধিতা করবে না। কিন্তু আমাদের এই বিষয়ে কিছু বক্তব্য রয়েছে। যদি ন্যায় বিচার না হয়, যদি বিজেপিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়, যদি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রকে আড়াল করা হয়, যদি বিজেপির কথায় এই ঘটনার তদন্তের পরিধি থেকে বেরিয়ে কোনও প্রতিহিংসার রাজনীতির চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না, প্রতিবাদ হবে, গণ আন্দোলন হবে।” বগটুই ঘটনার প্রেক্ষিতে আগেই কুণাল এবং তৃণমূল নেতৃত্ব বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলাকে বদনাম করার জন্য এই ঘটনা হয়েছে বলেও দাবি করেছিল। এখন সিবিআই তদন্তের পর সেই ইস্যুই আবার উস্কে গেল।
বিজেপি আবার দাবি করেছে, প্রমাণ নষ্ট করার জন্য আগেভাগে সিট গঠন করেছিল রাজ্য সরকার। টাকা ও চাকরি দিয়ে মৃতদেহগুলিকে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সরকারের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। আদালত যে রায় দিয়েছে তা রাজ্য সরকারের গালে চড় মারার সমান। শুধু বিজেপি নয়, সিপিএমও এই রায়ে খুশি হয়েছে। তাদের নিশানাতেও রয়েছে সিট। সত্যকে ধাপাচাপা দিতেই সরকার এই সিটের গঠন করেছিল বলে তারাও দাবি করেছে।