রতুয়া: তাঁর নাম ইমরান আলি। রতুয়া দুই নম্বর ব্লকের আড়াইডাঙার পীরপুর এলাকার এক সময়ের তৃণমূলের বুথ সভাপতি। কিন্তু এখন তিনি হাঁটতে, চলতে পারেন না। সব সময়ের সঙ্গী হুইল চেয়ার। জায়গায় জায়গায় আবেদন জানিয়েও চিকিৎসার কোনও সুবিধা পাননি। এমনকি সাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেউ সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ। আর তাই এখন কোনও কিছু উপায় না বের করতে পেরে তিনি স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছেন।
আরও পড়ুন- স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে চাঁদ-সূর্যের পথে ভারত, মহাকাশে যাচ্ছে চন্দ্রযান-৩, আদিত্য এল ওয়ান
ফুটবল খেলতে ভালোবাসতেন ইমরান। কিন্তু এই ফুটবলই কার্যত তাঁর জীবন অন্ধকার করে দিয়েছে। ২০১২ সালে খেলতে গিয়ে কোমরে চোট পান তিনি। সেই থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেননি। পরে কোমরের চোট থেকে পায়ের পেশির মাংস শুকিয়ে গিয়ে চলা-ফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন ইমরান। চিকিৎসকরাও হাল ছেড়ে দেন। তারপর থেকেই লড়াই লড়াই আর লড়াই। সম্প্রতি করোনায় হারিয়েছেন বাবাকে। এখন স্ত্রী এবং নিজের অসুস্থতা নিয়ে একেবারে দিশেহারা তিনি। অভিযোগ করছেন, পঞ্চায়েত প্রধান থেকে ব্লক প্রশাসন এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু একটা হুইল চেয়ার বাদে কোনও সাহায্য মেলেনি।
এক সময়ে যে কারোর সমস্যায় ছুটে যেতেন ইমরান। কিন্তু এখন তিনি একদম একা হয়ে গিয়েছে। কেউই কোনও ভাবে তাঁকে সাহায্য করছে না। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর আরও অভিযোগ, রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি রেশন পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলেও চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাই তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর দাবি জানিয়েছেন। এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের এই বিষয়ে বক্তব্য, বিডিওকে ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই যুবককে সাহায্য করা হবে। ওই ব্যক্তি যাতে প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা পান তার ব্যবস্থা করা হবে, এমনটাই জানান হয়েছে।