কলকাতা: মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত করা হয়েছে তাঁকে। ঘরে-বাইরে চাপের কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে গ্রেফতারির ৬ দিন পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার বলে বিরোধীদের বক্তব্য। ওদিকে, দলীয় পদ থেকেও কি সরবেন পার্থ? এই প্রশ্নও উঠেছিল স্বাভাবিকভাবেই। তার উত্তর মিলল এদিন। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক ডেকেছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত হল। দলের সমস্ত পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- রসিকা হত্যা মামলায় নড়া মোড়, শ্বশুরবাড়ির আবেদন খারিজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে
এদিন অভিষেক জানান, দলের পাঁচটি পদে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই সব পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হয়েছে। এক কথায়, দল থেকেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অভিষেকের বার্তা, তিনি যদি কিছু না করে থাকেন তাহলে বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে সেটা প্রমাণ করে আবার সসম্মানে তাঁকে দলে ফিরতে হবে। কিন্তু যতদিন না পর্যন্ত সেটা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত দল থেকে অপসারিত তিনি। একই সঙ্গে, দুর্নীতি নিয়েও আগের মতোই কড়া বার্তা দেন তৃণমূল নেতা। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল মানুষের জন্য। কেউ যদি নিজের জন্য কিছু করব বলে করে, তাহলে দল তাঁকে সমর্থন কোনও ভাবেই করবে না।
যদিও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও যে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে ছাড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এই তদন্ত নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন আছে। কিন্তু বিচার ব্যবস্থায় আস্থা রেখেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হবে অভিযুক্তকে। পাশাপাশি তিনি আবার মনে করিয়ে দেন, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় দলের কেউ নন। ব্যক্তিগতভাবে সম্পর্ক বাঁ পরিচিতি থাকতে পারে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।