কলকাতা: আসানসোল, বালিগঞ্জ। এই দুই কেন্দ্রে ভোটকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তাপ ছিল। ভোটগ্রহণের শেষ বেলাতেও তা বজায় থেকেছে। বিকেলেই ভোট গ্রহণ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বালিগঞ্জের বিশপ কলেজে। সিপিআইএম প্রার্থী সায়রা হালিমের দাবি এই বুথে রিগিং করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি ইভিএম খারাপ হওয়ায় ভোটগ্রহণ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে। তবে কিছুক্ষণ পরে ইভিএম বদলে দেওয়া হয়। এই ‘অজুহাতে’ খুশি নন সিপিএম প্রার্থী। তাঁর নিশানায় সেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- ভোটারদের প্রভাবিত করছে বাহিনী! বড় অভিযোগ আনল তৃণমূল
বালিগঞ্জের মতো, আসানসোলেও তৃণমূল কাঠগড়ায় এবং নিশানা করেছে বিজেপি। জামুরিয়া বিধানসভার চিচুড়িয়া এলাকায় এক বুথে বিজেপি এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় জামুরিয়ার বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আপাতত ভর্তি রয়েছেন তিনি বলে খবর। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ, তিনি বিজেপির জামুরিয়া ব্লক ২-র মণ্ডল সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আরও উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই পরপর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি, সিপিএম। ভোট লুট থেকে শুরু করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আসানসোল তুলনামুলকভাবে সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হলেও বালিগঞ্জও কিছু কম যায়নি। তবে নির্বাচন কমিশন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোথাও কোনও রিগিং হয়নি। বিরোধীরা যে ধরণের অভিযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু এমন কোনও ঘটনার সারবত্তা নেই বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।