বাঁকুড়া ও বনগাঁ: প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই বাঁকুড়া থেকে বনগাঁ শাসকদলের কর্মী বিক্ষোভ অব্যাহত৷ এবার তৃণমূলের বিষ্ণুপুর টাউন সভাপতি তথা এক নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সুনীল দাসকে মেনে নিতে না পেরে বিক্ষোভে সামিল হলেন দলীয় কর্মী সমর্থকেরা। শনিবার সকালে শহরের কাটানধারে বিক্ষোভ দেখান তারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তারা ‘বহিরাগত’ প্রার্থীকে মেনে নেবেন না। তাদের অভিযোগ, দু’নম্বরের ওয়ার্ডের বাসিন্দা, দলের টাউন সভাপতি সুনীল দাসকে এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করা হয়েছে। তিনি নির্বাচিত হলে রাত-বিরেতে মানুষের কোনও সমস্যা হলে তাঁকে পাওয়া যাবে না। তাই এলাকার মানুষকেই প্রার্থী করার দাবিতে তারা বিক্ষোভে সামিল বলে জানান। বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দে জর্জরিত তৃণমূল।’’ আর এসব করে মন্দির নগরীর উন্নয়ন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে বনগাঁ পুরসভার প্রার্থী তালিকায় নাম নেই প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্যর। যদিও প্রার্থী হয়েছেন তার স্ত্রী জোৎস্না আঢ্য। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। দল মনে করেছে তাই প্রার্থী করেনি। কিন্তু একই পরিবারের একাধিক প্রার্থী করা হবে না সে ক্ষেত্রে বনগাঁতে সাম্প্রতিক অন্য দল থেকে এসে একই পরিবারের দুই প্রার্থী হল কি করে সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷ অভিযোগ করেছেন, ‘‘আমি বনগাঁ শহরের ১১ বছরের সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও প্রার্থী নিয়ে আমার সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয়নি। আমি যে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলাম, সেই ওয়ার্ডের প্রার্থী নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। পার্টি ভালো বুঝেছে তাই প্রার্থী করেনি৷’’
যদিও পুরসভার প্রার্থী তালিকা নিয়ে বর্তমান পুর প্রশাসক তথা বনগাঁ পুর ভোটের তিন নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী গোপাল শেঠ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন আমাদের হাতিয়ার। দল যাকে মনে করেছে তাকে প্রার্থী করেছে। আগামীতে বনগাঁ পুরভোটে মমতা ঝড় বাইবে। ২২-০ হবে বনগাঁ পুরসভা।