কলকাতা: আগে চিরকুট দিয়ে চাকরি হত! ঝাড়গ্রামের কর্মীসভা থেকে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে বড়সড় মন্তব্য করে বসেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিয়ে এখন তোলপাড় রাজ্য। সিপিএমের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই এর পাল্টা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে মমতার মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। তবে বিতর্ক এখানেই থেমে নেই। সিপিএম আমলের চাকরি নিয়ে ফের বড় মন্তব্য করলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ। পরেশ অধিকারী ইস্যুতে কথা বলতে গিয়েই এমন মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
আরও পড়ুন- যুব নেতার মৃত্যুতে খুনের একাধিক প্রমাণ রয়েছে, হাইকোর্টে দাবি বিজেপি আইনজীবীর
এদিন একটি লম্বা ফেসবুক পোস্ট করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। উদয়ন গুহ সেই পোস্টেই লিখেছেন যে, ”প্রাথমিক শিক্ষক সিষ্টেম ছিল। বামফ্রন্ট নেতা কর্মী, বা তাদের আত্মীয়রা যারা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন প্রায় সবাই সেই কোটার ফসল।” মূলত কোচবিহার জেলার প্রেক্ষিতেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। তাই বামেদের তাঁর পরামর্শ, ”কাঁচের ঘরে বাস করে অন্য কে ঢিল ছুড়বার আগে দুই বার ভাবুন।” তবে পরেশ অধিকারী সম্পর্কে কী লিখেছেন তিনি? উদয়ন পরেশের প্রসঙ্গ তুলে কোচবিহার জেলা ফরওয়ার্ড ব্লকের সভাপতি দীপক সরকারের কথা তোলেন। তাঁর দাবি, দীপকের স্ত্রী কোচবিহার পৌরসভায় বাম আমলে চাকরি পান এখন অবসর নিয়েছেন। দীপকের মেজো ভাই মারা গেছেন। তিনি কৃষি দপ্তরে চাকরি করতেন। কৃষি দপ্তর ছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের হাতে।” বিধায়কের কথায়, ”চালুনি যখন বলে ওরে ছুঁচ তোর পিছনে কেন ফুটো, তখন কেমন কেমন লাগে না?”
যদিও পরেশ অধিকারী সম্পর্ক উদয়ন স্পষ্টই জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে তাঁর কিছু বলার নেই। পরেশ অধিকারী অভিযুক্ত, পয়সা খরচ করে উকিল রাখবেন, তারা আদালতের কাছে পরেশের হয়ে সাওয়াল করবেন। বিচারপতি বিচার করে রায় দেবেন। তিনি দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি, উল্টোটা হলে খালাস পাবেন। সেখানে তাঁর নাক গলানোর কোনও কারণ নেই।