কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সমস্ত কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা ১ জানুয়ারি, ২০২২ থেকেই বর্ধিত মহার্ঘভাতা বা ডিএ-র সুবিধা পাবেন। শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে৷ কিন্তু বাংলার সরকার এই ইস্যুতে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনো পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের সম্পূর্ণ মহার্ঘ ভাতা দিয়ে উঠতে পারেনি। এই নিয়ে আদালতে শুনানি হবে পরের মাসেই। ডিএ-র বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছে প্রথম থেকেই। এবার যেন আগুনে ঘি ঢাললেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ‘অঙ্ক কষে’ দেখালেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কতটা বঞ্চিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আগামী মাসেই ডিএ মামলার শুনানি, নিশানায় রাজ্য
ডিএ হিসেব দেখিয়ে টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ব্যাখ্যা দিয়েছেন যে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলা এই ক্ষেত্রে ঠিক কতটা পিছিয়ে। টুইটে তিনি লিখেছেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-এর অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এর সঙ্গে একটি তালিকা দিয়েছেন পাশাপাশি হিসেব করে দেখিয়েছেন রাজ্যের কর্মীরা কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। শুভেন্দু জানাচ্ছেন, কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মচারীরা এখন ৩১ শতাংশ কম মহার্ঘ ভাতা পাবেন। আর রাজ্য সরকারি কোনও কর্মচারীর ন্যূনতম বেতন ১৭ হাজার ধরলে তার বার্ষিক ক্ষতি হচ্ছে ৬৩ হাজার ৫৮০ টাকা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেছেন যে, অন্যান্য রাজ্যের থেকে বাংলার ডিএ-র হার সবথেকে কম। উত্তরপ্রদেশে ৩১ শতাংশ, বিহারে ২৮ শতাংশ, সেখানে বাংলায় ৩ শতাংশ। বাংলা থেকে এগিয়ে রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা।
আগামী ৬ এপ্রিল কনফেডারেশন অফ স্টেট এমপ্লয়িজের পক্ষ থেকে যে মামলা দায়ের হয়েছিল ডিএ নিয়ে সেই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে। ৬ এপ্রিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভাগ্য আজও নির্ধারণ হয়নি। কখনো কলকাতা হাইকোর্ট আবার কখনো স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালে গত ৬ বছর ধরে এভাবেই ঝুলে রয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা। টানা বেড়েই চলেছে জ্বালানির দাম সাথে সাথে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যে কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হলেও এ রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা আজও তাদের বকেয়া ডিএ পাননি।