কলকাতা: ২১ জুলাইয়ের দিন বিজেপির উলুবেড়িয়ার সভার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একাধিক নির্দেশ ছিল এবং তা মেনেই বিজেপিকে সভা করতে হত। কিন্তু হাইকোর্টের অনুমতি পাওয়ার পরেও সেই সভা বাতিল করা হয়েছে। একাধিক অসুবিধা আছে বলে জানিয়েছে বিজেপি শিবির। কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে এই ইস্যুতে ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন খোদ বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছেন, এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে যা সভা করা পক্ষে নয়। এতে কার্যত কলকাতা হাইকোর্টকেও নিশানা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌরভের পরিবারে ফের করোনার থাবা, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত
এদিন শুভেন্দু বলেন, ”শর্তগুলো অদ্ভুত অদ্ভুত করে লাগানো হয়েছে। হাওড়া জেলার বাইরে কোনও কর্মী-সমর্থক যেতে পারবেন না, তার মধ্যে আমিও পড়ি। আবার এটাও বলা আছে ২০ টি লাউডস্পিকার থাকবে না ৪ টে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলদাস উলুবেড়িয়ার এসডিও, যিনি পুলক রায়ের কথায় ওঠেন আর বসেন, তিনি ঠিক করে দেবেন। এই রাজ্যে আর কেউ কোথাও এই দিন সমাবেশ করতে পারবেন না। এই প্রথম নজির তৈরি করা হল কার্যত হাইকোর্টকে দিয়ে। যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে যা সভা করা পক্ষে নয়। সভা করার বিপক্ষে।” শুভেন্দুর দাবি, বিজেপি বিশ্বের সর্ববৃহৎ পার্টি, ১৮ টা রাজ্য এবং দেশ চালায়, তাই বিজেপি সভার অনুমতি উচ্চ আদালত দিল না সেই ঝুঁকি হয়তো উচ্চ আদালত নেয়নি।
এদিকে শুভেন্দুকে পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে এসেছিল বিজেপি, সভায় লোক হবে না জেনে এখন পালিয়ে গিয়েছে। ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা এটা সবাই জানে। সেই মতো আদালত শর্তসাপেক্ষে তাদের সভার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন মানসিক অবসাদ থেকে আদালতকে কটাক্ষ করছেন শুভেন্দু অধিকারী। কুণালের কথায়, ব্যর্থ, অপদার্থরা ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে।