আচমকা বনধ প্রত্যাহারের অনুরোধ শুভেন্দুর! ব্যাপার কী

আচমকা বনধ প্রত্যাহারের অনুরোধ শুভেন্দুর! ব্যাপার কী

কলকাতা: ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাস করেছে, এই অভিযোগ তুলে তারই প্রতিবাদে আজ ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি। সকাল থেকে বেশিরভাগ জায়গায় বনধের সেইরূপ প্রভাব না পড়লেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু বিজেপির তরফ থেকে এখন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে যে তারাই বনধ সমর্থন করে না! এদিন সকালে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন যে, বনধকে নৈতিক সমর্থন করে না তিনি। এখন আবার বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বনধ প্রত্যাহারের অনুরোধ আনিয়েছেন। কিন্তু কেন?

আরও পড়ুন- সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকছে রুশ ট্যাঙ্কবাহিনী! রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন সেনার আত্মসমর্পন?

গোটা রাজ্যের যা ছবি ধরা পড়েছে তাতে বিজেপি আজকের বনধ এমনিতেই সফল হয়নি। তার মধ্যে বেলা বাড়তেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বনধ প্রত্যাহারের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করলেন। তাঁর বক্তব্য, হঠাৎ করে ডাকা বনধ ডাকার কারণে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। তাই এই বনধ দ্রুত প্রত্যাহার করে নেওয়াই উচিত বলে মনে করছেন তিনি। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব আদতে এই বনধ প্রত্যাহার করবে না বলেও আপাতত জানা গিয়েছে। আসলে এইভাবে আচমকা বনধ ডাকায় আম আদমির সমস্যা বেড়েছে সকাল থেকেই। কলকাতায় খুব একটা প্রভাব না পড়লেও একাধিক জেলায় বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। পরিবহন থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিষেবা ব্যহত হয়েছে কিছু অংশ, যা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়েছে। তাই অনুমান, দিলীপ-শুভেন্দুরা এখন ‘ভুল’ বুঝতে পেরেছেন।

বনধ নিয়ে আগেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, দোকান, বাজার, কারখানা সবই যেন রোজের নিয়মে চলে। অন্যদিকে রাজ্য অর্থ দফতর জানিয়েছে, বনধের দিন অফিস করতেই হবে। অর্ধ দিবস ছুটিও নেওয়া যাবে না। আবার রবিবার যাদের ছুটি ছিল তাদের আজ অফিস করতেই হবে। এই নির্দেশ অমান্য করলে এক দিনের বেতন কেটে নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *